'জেহাদে মরলে মৃতদেহ উজ্জ্বল হবে, স্বর্গে ঈশ্বর স্বাগত জানাবে',উগ্রপন্থার পাঠ কিভাবে পড়ানো হয় কাসভকে
শতাধিক মৃতদেহ , আর রক্তগঙ্গার স্মৃতি আজও মুছে ফেলতে পারেনি মুম্বই। ২০০৮ সালের সেই নারকীয় জঙ্গি হামলা আজও আতঙ্কে রাখে শহর মুম্বইকে। ২৬/১১ এর সেই মুম্বই হামলার অন্যতম সন্ত্রাসবাদী ছিল আজমল কাসাভ। যার জেরা পর্ব নিয়ে লেখা আইপিএস রাকেশ মারিয়ার বই 'লেট মি সে ইট নাও'-তে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে , কিভাবে আজমলের মতো যুবকদের পাকিস্তানে উগ্রপন্থার পাঠ পড়ানো হয়।
কীভাবে উগ্রপন্থার রাস্তায় গিয়েছেন কাসাভ?
'আপনি জানেন না স্যার.. আমাদের নেতা বলেছিল, যদি তুমি জেহাদে মারা যাও, তাহলে তোমার মৃতদেহ উজ্জ্বল হবে, আর তার থেকে বেরিয়ে আসবে সুগন্ধ। স্বর্গে পৌঁছে যাবে সেই দেহ। আর স্বয়ং ঈশ্বর স্বাগ জানাবে । .. সেখানে সুন্দরীরা থাকবে..'। একথা পুলিশি জেররা মুখে জানায় কাসাভ। কাসাভ বলে , এমন বার্তা উগ্রপন্থী শিবির লস্করে ক্যাম্পে তাকে বোঝানো হয়েছে।
'পৃথিবীতে নয়, স্বর্গেই সুখী জীবন মেলে..'
লস্করের ক্যাম্পে কাসাভদের বলা হয় যে , পৃথিবীতে যে জীবন, সেই জীবনে সুখ নেই। আর পৃথিবীর বাইরে যে জীবন , সেই স্বর্গের জীবনেই যাবতীয় সুখ। কাসাভের মুখ থেকে রাকেশ মারিয়া এমন মন্তব্য শুনেই পাল্টা প্রশ্ন করেন। আর তাতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য়ি!
'তোমার নেতা কেন মরল না?'
কাসাভের
যুক্তি
শুনেই
পাল্টা
জেরায়
কাসাভকে
রাকেশ
মারিয়া
প্রশ্ন
করেন
যে
,
তাহলে
'তোমার
নেতা
কেন
মারা
গেল
না
জেহাদে?'
যার
উত্তরে
কাসাভ
আবেগ
প্রবণ
হয়ে
ক্ষমা
চেয়ে
নেয়।
এরপরও
পল্টা
বক্তব্য
রাখতে
থাকেন
মারিয়া।
বাকি জঙ্গিদের দেখিয়ে মারিয়া বলেন...
এরপর কাসাভকে নিয়ে গিয়ে বাকি জঙ্গিদের মৃতদেহ দেখান রাকেশ মারিয়া। আর তারপরই তিনি কাসাভকে প্রশ্ন করেন, এই জঙ্গিদের দেহে আদৌ কি কিচ্ছু হচ্ছে? কোনও গন্ধ বের হচ্ছে? এরপর কাসাভ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায় বলে জানান মারিয়া।