কাশ্মীরে সুড়ঙ্গপথে হিজবুল নেতা রিয়াজ যাতে পালিয়ে না যায়..! কীভাবে সংগঠিত হল জঙ্গি দমন অভিযান
সুড়ঙ্গপথে কাশ্মীরের হিজবুল নেতা রিয়াজ যাতে পালিয়ে না যায়..! কীভাবে সংগঠিত হল জঙ্গি দমন অভিযান
কন্ট্রোল রুমে তখন টানটান আতঙ্ক, উদ্বেগ। কাশ্মীরের দাপুটে ডিজিপি দিলবাগ সিং তখন কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা অভিযান তত্ত্বাবধান করছেন। অন্যদিকে, রাতের অন্ধকারে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে ধীরে ধীরে পুলওয়ামায় যে জায়গায় হিজবুল নেতা রিয়াজ লুকিয়ে রয়েছে তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। কাশ্মীরের হিজবুল কমান্ডার রিয়াজকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ঘিরে একাধিক তথ্যে চোখ রাখা যাক।
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল..
গত এপ্রিল মাসের শেষ থেকে শুরু করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কাশ্মীরে জঙ্গিদের আস্ফালন বাড়তে শুরু করে। একের পর এক এনকাউন্টার সংগঠিত হয় ভূস্বর্গের বুকে। সেনাবাহিনীর দিকে তাক করে হামলা শানিয়েছে জঙ্গিরা। এরপর আর ছেড়ে কথা বলতে চায়নি সেনা। উপত্যকায় হিজবুলের নেতা রিয়াজ নাইকু বেইঘোবরা গ্রামে রয়েছে জানতে পেরেই অভিযানের ছক কষে বাহিনী।
তখন রাত ১ টা..
স্বপ্নসুন্দর কাশ্মীরে তখন মধ্যরাত। ততক্ষণে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের খাছে খবর আসে যে নাইকু কোথায় রয়েছে। এমনও খবর আসে যে, পুলিশি হামলা হলে, সে চেনা সুড়ঙ্গ পথে বেরিয়ে যাবে। এরপরই রাতের অন্ধকারে সুড়ঙ্গ ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়।
সুড়ঙ্গ রোখার উদ্যোগ
পুলওয়ামার বেইঘোবরা গ্রামে রিয়াজ যেখানে লুকিয়ে ছিল তার সংলগ্ন মাঠ ও রেলপথে কোনও সুড়ঙ্গ রয়েছে কী না, তার খোঁজ শুরু করে সেনা। নাইকু মাটির তলায় কোথাও গোপন ঘাঁটিতে লুকিয়ে রয়েছে কীনা তার তল্লাশি চলে। বাহিনীর অন্য আরেক দল ততক্ষণে রাতের অন্ধকারে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলতে শুরু করে গ্রাম।
এরপর সকাল ৯ টা
গোটা রাত কোনও তরফে কোনও উত্তেজনা ছিলনা। সকাল ৯ টা হতেই শুধু হয় জঙ্গি ও সেনার গুলি বিনিময়। ধীরে ধীরে বাড়িটি ঘিরে ফেলে সাঁড়াশি আক্রমণ শানায় সেনা ও পুলিশ। ফাঁদে পড়ে যায় হিজবুল কমান্ডার। রিয়াজের সঙ্গে আরও ১ জঙ্গি মারা যায় বলে খবর।
প্রবল পাছর বর্ষণ
এলাকার মধ্যে এনকাউন্টার খতম হতেই মৃত জঙ্গিদের দেহ নিয়ে আসতে গিয়ে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। প্রব পাথর বর্ষণ শুরু করে এলাকাবাসীরা। সিআরপিএফ সিঅ বর্ষণ উপেক্ষা করে ২ জঙ্গির দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি বহু অস্ত্রসস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।