ছটপুজোয় মেতে গোটা দেশ, কেমন করে পালিত হয় এই উৎসব, জানুন
ছট্ অর্থাৎ ছটা বা রশ্মি পুজো। এই পুজো আসলে সূর্যদেবের পুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন স্বয়ং সূর্যদেব, আছেন গঙ্গা এবং দেবী অন্নপূর্ণা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই পুজো শেষ হবে শুক্রবার।
ছট্ অর্থাৎ ছটা বা রশ্মি পুজো। এই পুজো আসলে সূর্যদেবের পুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন স্বয়ং সূর্যদেব, আছেন গঙ্গা এবং দেবী অন্নপূর্ণা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই পুজো শেষ হবে শুক্রবার।
ছটপুজোর ইতিহাস রামায়ণ, মহাভারতে ছটপুজোর উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীতে রয়েছে, বর্ষার আগমন ঘটেছে। চাষীদের মাথায় হাত। মাঠের ফসল মাঠেই মারা যাচ্ছে। মা অন্নপূর্ণা ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকেন। সকল দেবতা মা অন্নপূর্ণার এহেন দুর্দশায় ব্যথিত। ঘরে ঘরে অন্নাভাবে হাহাকার ওঠে। সূর্যের তাপ হ্রাস করে বাঁচার জন্য মা অন্নপূর্ণা সূর্যদেবের ধ্যান করতে শুরু করেন। কিন্তু সূর্যের প্রখর ছটায় অন্নপূর্ণা ক্ষীয়মান হতে থাকেন। দেবতারা সম্মিলিতভাবে সূর্যদেবের কাছে গেলে তিনি অন্নপূর্ণার এই দশার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
ছটপুজোর ইতিহাস
রামায়ণ, মহাভারতে ছটপুজোর উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীতে রয়েছে, বর্ষার আগমন ঘটেছে। চাষীদের মাথায় হাত। মাঠের ফসল মাঠেই মারা যাচ্ছে। মা অন্নপূর্ণা ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকেন। সকল দেবতা মা অন্নপূর্ণার এহেন দুর্দশায় ব্যথিত। ঘরে ঘরে অন্নাভাবে হাহাকার ওঠে। সূর্যের তাপ হ্রাস করে বাঁচার জন্য মা অন্নপূর্ণা সূর্যদেবের ধ্যান করতে শুরু করেন। কিন্তু সূর্যের প্রখর ছটায় অন্নপূর্ণা ক্ষীয়মান হতে থাকেন। দেবতারা সম্মিলিতভাবে সূর্যদেবের কাছে গেলে তিনি অন্নপূর্ণার এই দশার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
রামায়ণ
নিয়মিত ছটপুজো করতেন রামচন্দ্র। ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যা ফেরার সময় রাম ও সীতা সূর্য দেবের উদ্দেশ্যে পুজো ও উপবাস করেন।
মহাভারত
সূর্যদেবের কথা রয়েছে মহাভারতেও। সূর্যদেব ও কুন্তির পুত্র কর্ণ সূর্যের আলোয় আবক্ষ জলে দাঁড়িয়া দরিদ্রদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন। কথিত আছে, কৌরবদের কাছে জুয়ার হেরে গিয়ে পাণ্ডবরা যখন নিঃস্ব হয়ে যায়, তখন অরণ্যের মধ্যে এই ব্রত পালন করে বিপদ থেকে রক্ষা পান।
প্রথম দিন
ভক্তরা স্নান না করে মুখে কিছু তোলেন না এই প্রথম দিনে। যিনি ব্রত রাখেন প্রথমে তিনি খান, পরে পরিবারের সকলে খেয়ে থাকেন।
দ্বিতীয় দিন
দ্বিতীয় দিনের পুজো শেষ হওয়ার পর ভক্তরা উপবাস ভাঙেন। সারাদিন উপবাস থেকে রাতে আঁখের রস, আটার রুটি, পায়েস ও চাল দিয়ে খাবার খেয়ে থাকেন।
তৃতীয় দিন
তৃতীয় দিনে মহিলারা নির্জলা উপবাস করেন। একইসঙ্গে চলে দেবীর আরাধনা। নদী, পুকুর বা কোনও জলাশয়ের ধারে গিয়ে অস্তাচলগামী সূর্যের উদ্দেশ্য পুজো দেন ভক্তরা।
চতুর্থদিন
সূর্য ওঠার প্রাক মুহূর্তে সূর্যকে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে উপবাস ভাঙেন ভক্তরা।
মেতে ওঠেন সব ধর্মের মানুষ
শারদোৎসব
পেরিয়ে
যাওয়ার
পরেই
আসে
ছট
মায়ের
পুজো।
এখন
প্রায়
সবধর্মের
মানুষই
এই
পুজোয়
মেতে
ওঠেন।
কার্তিক
মাসের
শুক্লপক্ষের
ষষ্ঠীতে
ও
চৈত্র
মাসের
শুক্লপক্ষের
ষষ্ঠী
তিথিতে
বছরে
দুবার
এই
পুজো
হয়ে
থাকে।
তবে
কার্তিক
মাসের
শুক্লপক্ষের
বিশেষ
তিথিতেই
প্রধানত
সূর্য
দেবতার
পুজো
করা
হয়।
পরিবারের
মঙ্গল
কামনার
জন্যই
এই
ছট
পুজোর
রীতি
প্রচলিত।
এই
পুজোর
মূল
প্রসাদ
কয়েকটি
বিশেষ
ধরনের
উপকরণ
দিয়ে
তৈরি
করা
হয়।
ঠেকুয়া
নামে
এই
প্রসাদ
প্রধানত
তৈরি
করা
হয়,
আটা,
গুড়,
তেল,
মূলো,
আঁখ,
বরবটি,
কলা,
শশা,
নারকেল,
মটর
ও
চাল
দিয়ে।