ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, টুইটেই একাধিক পরামর্শ হর্ষ বর্ধনের
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, টুইটেই একাধিক পরামর্শ হর্ষ বর্ধনের
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই গোটা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। এমনকী শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হয়েছেন ২ হাজারের বেশি মানুষ। একের পর এক রাজ্য থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। এমতাবস্থায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এবার বেশ কিছু পরামর্শ দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে।
করোনারে সেকেন্ড ওয়েভ সামলাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে সরকার, বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
টুইট করে বিশেষ পরামর্শ হর্ষ বর্ধনের
এদিকে দিল্লি, গুজরাত, এবং বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু কোভি়ড রোগীদের এই রোগ ধরা পড়েছে। এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন অবহেলা করলে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার টুইটারেই এই বিষয়ে একগুচ্ছ পোস্ট করেন হর্ষ বর্ধন। এমনকী এই রোগ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে কী করা উচিত সেই বিষয়েও চারটি স্লাইডে বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি।
মিউকোরোমাইকোসিস নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে কালো ফাঙ্গাসের রোগ বা মিউকোরোমাইকোসিস কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ত্বকের সমস্যা হয়ে শুরু হলেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সেকথা মানছেন খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রীও। এমনকী এরফলে পরিবেশে থাকা একাধিক ভাইরাস, রোগ-জীবানুদের সাথেও লড়াইয়ের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মানব শরীর। এই বিষয়েই মূলত প্রথম স্লাইডে সচেতন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কাদের এই রোগ হাওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক ?
অন্যদিকে কাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে দ্বিতীয় স্লাইডে। মূলত যাদের কোমরবিডিটি, ভেরিকোনাজল থেরাপি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলিটাস, বারংবার স্টেরয়েড নিয়েছেন বা দীর্ঘাদিন আইসিইউ-তে থেকেছেন তারা অনেক বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হতে পারে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরের দুটি স্লাইডে এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে বিশদে সচেতন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
কোন কোন উপসর্গ সবথেকে বেশি মাথাচাড়া দিচ্ছে ?
শরীরে যন্ত্রণা, চোখ-নাকের পাশ দিয়ে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, নিঃশ্বাসের সমস্যা, রক্তবমি, স্মৃতি শক্তিতে প্রভাব অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রাথমিক ভাবে মাথাচাড়া দেয় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের৷ তবে ঘন ঘন নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমনকী দৃষ্টি শক্তি হারিয়েও ফেলেছেন অনেকে। তাই আগাম সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধ পালনের পাশাপাশি কিছু জিনিস এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।