একেবারে চোখ উপড়ে নেওয়া হবে, কেটে নেওয়া হাত! প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে বিজেপি সাংসদ
একের পর এক বিতর্কে বিজেপি। কখনও কৃষকদের উপর গাড়ি চাপা দিয়ে দেওয়া আবার কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করা। বারবার নেতাদের কার্যকলাপে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপি। আর এই অস্বস্তির মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে কার্যত দলকে আরও বিড়ম্বনায় ফেল
একের পর এক বিতর্কে বিজেপি। কখনও কৃষকদের উপর গাড়ি চাপা দিয়ে দেওয়া আবার কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করা। বারবার নেতাদের কার্যকলাপে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিজেপি। আর এই অস্বস্তির মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে কার্যত দলকে আরও বিড়ম্বনায় ফেললেন বিজেপি সাংসদ।
শুক্রবার বিজেপি নেতা মণীশ গ্রোভার-সহ দলের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীকে রোহতকের কিলোই গ্রামে এক মন্দিরের ভিতরে ঘেরাও করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। আর এরপরেই হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের। তিনি বলেন, মণীশ গ্রোভারকে কেউ যদি টার্গেট বানায় তাহলে তাঁর চোখ উপড়ে নেব।
শুধু তাই নয়, হাত কেটে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের।
নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদীদের 'কর্মহীন মদ্যপ' বলে কটাক্ষ করেন মণীশ গ্রোভার। আর এরপরেই মণীশ গ্রোভার-সহ দলের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীকে রোহতকের কিলোই গ্রামে এক মন্দিরের আটকে রাখা হয়। কয়েক ঘন্টা তাঁদের আটকে রাখা হয়। মন্দিরে বাইরে লাগাতার চলে কৃষকদের বিক্ষোভ।
আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই চলে এই বিক্ষোভ। বলা হয়, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কংগ্রেসের হাত। আর এহেন অভিযোগ ঘিরেই চলে বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন হরিয়ানার বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ শর্মা। আর সেখানে দলের নেতৃত্বকে আটকে রাখা নিয়ে কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ শানাতে থাকেন। আর সেখানেই কার্যত চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন সাংসদ।
প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে অরবিন্দ শর্মা বলেন, মণীশ গ্রোভারের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে তা উপড়ে নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যদি কেউ হাত তোলার সাহস দেখায় তো তাঁর হাত কেটে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন হরিয়ানার এই সাংসদ। একদিকে যখন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সাংসদ তখন বিক্ষোভ সমাবেশে থাকা বিজেপি কর্মীদের হাততালি দিতে শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাংশের মতে, একজন সাংসদ হয়েও কীভাবে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিতে পারেন তিনি? শুধু তাই নয়, হাত কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও কেন সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি মামলা নেওয়া হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, মোদী সরকার নয়া কৃষক আইন নিয়ে এসেছে। আর তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার বিক্ষোভে কৃষকরা। দিল্লি তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক বিপ্লব চলছে। যা নিয়ে একটা অস্বস্তি রয়েছে বিজেপি। যদিও কৃষি আইন প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন ২৬ নভেম্বরের মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে মোদী সরকারকে। নইলে চরম পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। ২৭ নভেম্বর ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লির সীমান্তে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। ফলে ক্রিশক বিল নিয়ে নয়া অস্বস্তি তরি হতে চলেছে। যদিও সরকারের তরফে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আন্দোলনরত কৃষকরা।