Gujarat election 2022: থামিয়ে দিয়েছেন গুজরাতের উন্নয়ন! মেধা পাটেকরকে পাশে নিয়ে হাঁটায় রাহুলকে নিশানা মোদীর
গুজরাতের ভোট প্রচারের নাম না করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর। এদিন তিনি ধোরাজিতে বলেছেন, একজন কংগ্রেস নেতাকে একজন মহিলাকে সঙ্গে করে পদযাত্রায় (ভারত জোড়ো যাত্রায়) অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। সেই মহিলা তিন
গুজরাতের ভোট প্রচারের নাম না করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর। এদিন তিনি ধোরাজিতে বলেছেন, একজন কংগ্রেস নেতাকে একজন মহিলাকে সঙ্গে করে পদযাত্রায় (ভারত জোড়ো যাত্রায়) অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। সেই মহিলা তিন দশক ধরে নর্মদা বাঁধ প্রকল্পের কাজ আটকে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সমবেত কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, যখন কংগ্রেস ভোট চাইতে আসবে, তখন জিজ্ঞাসা করুন নর্মদা বাঁধের বিরুদ্ধে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কাঁধে হাত রেখে কেন পদযাত্রা করছেন।
|
ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে মেধা পাটেকর
গত ১৭ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন মেধা পাটেকর। ছবিতে মেধা পাটেকরের কাঁধে হাত রেখে রাহুল গান্ধীকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি দিয়ে বিজেপি বিভিন্ন নেতা ছাড়াও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল গুজরাতের অগ্রগতি বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধী হুজরাত ও গুজরাতিদের প্রতি তাদের শত্রুতা দেখিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন মেধা পাটেকরকে তাদের যাত্রায় কেন্দ্রীয় স্থান দিয়ে রাহুল গান্ধী কয়েক দশক ধরে গুজরাতবাসীকে জল দিতে অস্বীকার করেছে। গুজরাত এটা সহ্য করবে না।
|
কংগ্রেসের গুজরাত বিরোধিতা অব্যাহত
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে বলেছেন, গুজরাতের সর্দার সরোবর প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেধা পাটেকর। তিনি নর্মদা প্রকল্প স্থগিত করতে সব কিছুই করেছিলেন। রাহুল গান্ধী তাঁকে নিয়েই ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস সবসময় গুজরাত বিরোধী ছিল, তাদের সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও মেধা পাটেকরের ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকে কটাক্ষ করে বলেছেন, এই ঘটনায় বলা যায়, কংগ্রেস গুজরাতের উন্নয়নের বিরুদ্ধে।
মোদীর প্রচারে নর্মদা প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রচারে নর্মদা প্রকল্প উল্লেখ করার বিষয়টি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা প্রধানমন্ত্রী শুধু রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করেননি, তিনি নর্মদা বিরোধীরা কীভাবে প্রকল্পের কাজ আটকে রেখেছেন, তাও নিজের মতো করে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, জল যাতে না পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে পথে নেমেছিলেন। মেধা পাটেকর এমন করে গুজরাতের মানহানি অভিযোগ করেছিলেন যে বিশ্বব্যাঙ্ক এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয়।
কাজ শুরুর পরে বন্ধ
গুজরাতের বিজেপি সরকার ২০১৭ সালে সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করে। যদিও এবারেও নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন শুরু করেন মেধা পাটেকর। তিনি অভিযোগ করেছিলেন বাঁধের জল হাজার হাজার আদিবাসী পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করবে। শুধু এদিন প্রধানমন্ত্রীই নন, শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা নর্মদা বিরোধী তারা গুজরাত বিরোধী এবং সৌরাষ্ট্র বিরোধী।