সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বছর শেষেই আসছে করোনার টিকা, আশাবাদী স্বাস্থ্যমন্ত্রক
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বছর শেষেই আসছে করোনার টিকা, আশাবাদী স্বাস্থ্যমন্ত্রক
আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন ১৫ই আগস্টের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসবে দেশে। কিন্তু আগস্টের প্রায় শেষ হতে চললেও ভ্যাকসিনের দেখা মেলেনি। তবে বাজারে না এলেও দেশের একাধিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতিই চূড়ান্ত পর্বের দিকে এগোচ্ছে বলে জানায় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন দেশবাসীর বুকে ফের একবার আশার আলো জাগিয়ে জানান সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষেই দেশে আসতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন।
বিশ্বে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে এগিয়ে ভারত
বিশ্বের একাধিক দেশই বাজারে সর্বজনগ্রাহ্য করোনার ভ্যাকসিন আনতে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে প্রায় ২৬ টা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে। পাশাপাশি, আরও ১৩৬ টা ভ্যাকসিন রয়েছে প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে। এমতাবস্থায় ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান, "ভারতের ভ্যাকসিন প্রার্থীরা এই দৌড়ে বেশ খানিকটা এগিয়েই রয়েছে। দেশের প্রায় দেড় ডজন ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল অবধি পৌঁছে গেছে।"
দেশের ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে হর্ষবর্ধন বাবু দেশের উপর আস্থা রেখেই জানান, " আমরা ভ্যাকসিন গুলির সাফল্য এবং অগ্রগতি লক্ষ্য করছি। আমরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত পরীক্ষা এই বছরের মধ্যেই শেষ হবে এবং এর ফলাফল সমগ্র বিশ্বের দরবারে উপস্থিত হবে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমরা সফল হবই। "
বাড়ছে সুস্থতার হার, কমছে মৃত্যুহার
বিশ্বে করোনা সম্পর্কে কানাঘুঁষো শোনা যেতেই, দেশে ৮ই জানুয়ারি থেকেই এর মোকাবিলার কৌশল শুরু হয়ে যায় বলে জানান হর্ষ বাবু। করোনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে গোড়াতে অনেক বিশেষজ্ঞই আশঙ্কা করেছিলেন, ৮মাসের মধ্যে দেশের নাকি প্রায় ৩০ কোটি মানুষ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দেশের বর্তমান অবস্থা সামনে রেখে হর্ষবাবু জানান, আমরা আনন্দিত দেশে ৩০ কোটি তো দূর ০.৩ কোটিতেও পৌঁছায়নি আক্রান্তের সংখ্যা। বরং ক্রমেই বাড়ছে সুস্থতার হার, চিন্তার মেঘ সরিয়ে কমছে মৃত্যুহারও। ইতিমধ্যেই দেশে সুস্থতার হার প্রায় ৭৫% আর মৃত্যু হার মাত্র ১.৮৭%।
করোনা যুদ্ধে লড়ছে ভারত, একদিনে ১০ লক্ষ টেস্টের রেকর্ড
ভারতে করোনায় আক্রান্ত শনিবার ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে শুধু অগস্টেই ১৩ লক্ষের উপর সংক্রামিত। তবে করোনা দমনে হাত গুটিয়ে বসে নেই কেউই। আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়ালেও গোটা দেশে একদিনে ১০ লক্ষ করোনা টেস্ট তৈরী করল নয়া রেকর্ড। ভারতে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার ৭৪.৭৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুহার নেমে এসেছে ১.৮৭ শতাংশে। ২১ অগস্ট পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৩টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই ১০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৩৬টি নমুনার টেস্ট হয়েছে। একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক টেস্ট।
সাড়ে তিন ঘণ্টায় ৫০ কেজির টিউমার অপসারণ করে বিশ্বে নজির গড়লেন অ্যাপোলোর চিকিৎসকরা