প্রকাশিত জিডিপি রিপোর্টকার্ড, আশঙ্কা সত্যি করে মন্দার গ্রাসে ভারতীয় অর্থনীতি!
নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য়বৃদ্ধি থেকে মুদ্রাস্ফীতি, করোনা ধাক্কায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে বেহাল তা বলাই বাহুল্য। তবে এই পরিস্থিতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতেই দেশে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। তবে তাতে যে খুব একটা লাভ হল তার প্রমাণ স্বরূপ এদিন প্রকাশিত হল দেশের জিডিপি রিপোর্ট কার্ড। এদিন প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৭.৫ শতাংশ সংকোচন হয়।
দেশের রাজস্ব ঘাটতি
চলতি অর্থনৈতিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও নেগেটিভে থেকে গেল প্রবৃদ্ধির হার। এখনও পর্যন্ত চলতি অর্থবর্ষের মোট রাজস্ব ঘাটতির পূর্বাভাসের মাত্রা ১১৯ শতাংশ হারে ছাড়িয়েছে। এই ঘাটতি এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। এখনও এই বছরে বাকি আরও চার মাস।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে চলতি অর্থনৈতিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও নেগেটিভে থেকে গেল প্রবৃদ্ধির হার। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি সংকোচন হল ৭.৫ শতাংশ। পাশাপাশি প্রথমবার ভারতীয় অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতির এই সংকোচন যে হবে, তা নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপিতে বড়সড় ধস নামে
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপিতে বড়সড় ধস নামে। একই ভাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও জিডিপি সংকোচন হল। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার নেমে দাঁড়িয়েছিল ২৩.৯ শতাংশে। আনলক পর্ব শুরু হওয়ায় মনে করা হচ্ছিল ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
মন্দা পরিস্থিতির সম্মুখীন ভারতীয় অর্থনীতি
উল্লেখ্য, অর্থনীতিতে পরপর দুই বা তার অধিক ত্রৈমাসিকে যদি জিডিপির হার পড়ে যায়, তখন তাকে মন্দা বলা হয়। সেই অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও অর্থনীতির সংকোচন হওয়ায় খাতায় কলমে ভারতে মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইতিহাসে প্রথমবার মন্দা পরিস্থিতির সম্মুখীন ভারতীয় অর্থনীতি।
আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আরবিআই
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তাদের একটি রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের অর্থনীতি ৮.৬ শতাংশ হারে সংকুচিত হতে পারে। আনলক পর্যায়ে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরানোর চেষ্টা চললেও যে তা সফল হয়নি তা স্পষ্ট আরবিআই-এর এই রিপোর্ট থেকে।
কবে ইতিবাচক অবস্থানে ফিরতে পারে দেশের অর্থনীতি?
এর আগে গত মাসে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের জেরে বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে মন্দায় ঢুবে যাওয়া দেশ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অনেকেই। যদিও আশা করা হচ্ছে যে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ইতিবাচক অবস্থানে ফিরতে পারে দেশের অর্থনীতি।
শেষের শুরু! শুভেন্দুর পদত্যাগে গেরুয়া রেখা, ইঙ্গিতবহ বার্তা মুকুল রায়ের