ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় ঘোষিত হলে NRC-তে বাদ দেওয়া যাবে না, জানাল হাইকোর্ট
ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় ঘোষিত হলে NRC-তে বাদ দেওয়া যাবে না, জানাল হাইকোর্ট
এনআরসি, সিএএ বিবাদ এখনও জারী অসমে৷ এনআরসিতে বাদ যাওয়া প্রচুর মানুষ গুয়াহাটি হাইকোর্টের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবার গোয়াহাটি হাইকোর্টের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে একবার ট্রাইব্যুনাল কাউকে ভারতীয় বলে ঘোষণা করলে 'তিনি ভারতীয় নাগরিক নন' বলে আর ঘোষণা করা যাবে না৷ পর্যবেক্ষণটি অসমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে হাইকোর্ট কাউকে ভারতীয় হিসাবে ঘোষণা করা ব্যক্তিকেও দুই কিংবা তার বেশিবার নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
কী বলেছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট?
নাগরিকত্ব সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানির সময়, আদালত জানিয়েছে যে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব সম্পর্কিত ট্রাইব্যুনালের মতামত 'রেস জুডিকাটা' হিসাবে কাজ করবে, যার অর্থ বিষয়টিতে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টিকে আবার আদালতে আনা যাবে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নাগরিকত্ব বিষয়ে একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানি করে বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং এবং বিচারপতি ননী তাগিয়ার বেঞ্চ। শুনানির সময় বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে 'রেস জুডিকেটে'র নীতির উপর ভিত্তি করে এটি সর্বজনীন ভাবে কার্যকরী হবে।
বিদেশি চিহ্নিত করণে কী পদ্ধতি?
অন্যদিকে বর্তমান আইনের অধীনে অবৈধ বিদেশিদের মোকাবিলা করার জন্য যা নিয়ম রয়েছে তাই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে কোর্ট। ২০১৮ সালের আমিনা খাতুন মামলায় উচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে অন্য একটি মামলার যুক্তি দেওয়ার সময়, রাজ্যের তরফে জোর দেওয়া হয়েছিল যে বিদেশিদের জন্য আইন ১৯৪৬ এর ধারা ৩ এর অধীনে, বিদেশিদের সনাক্ত এবং তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ন্যস্ত।
বিদেশি চিহ্নিতকরণের কাজে পুলিশ সুপাররা!
কেন্দ্রীয় সরকার এরকই বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও নির্বাসন কাজ পরিচালনার সময় পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টদের এই ক্ষমতা অর্পণ করে। আবার ফরেনার্স (ট্রাইব্যুনাল) আদেশ অনুসারে ১৯৬৪র আইন-এর অধীনে, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টরা শুধুমাত্র ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল থেকে মতামত চান এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আদালত আরও বলেছে, একটি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল শুধুমাত্র একটি মতামত প্রদান করে। অতএব, এটা বলা ভুল হবে যে কেন্দ্রীয় সরকার বা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টরা বিদেশি ট্রাইব্যুনালের মতামতের দ্বার কোমনভাবে জড়িয়ে পড়বেন!
কী বলছেন পিটিশনাররা?
তবে বর্তমান কিছু পিটিশনকারীদের দাবি করেছেন, আমিনা খাতুন মামলায় নেওয়া সিদ্ধান্ত এখন আর অনুসরণ করার মতো একটি ভাল আইন নয়, সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায় উদ্ধৃত করে এ বিষয়টি দাবি করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত আদালত যখন বলেছে যে ট্রাইব্যুনালের মতামত 'রিস জুডিকেট'হিসাবে কাজ করবে এর অর্থ হল একবার ট্রাইব্যুনাল কাউকে ভারতীয় ঘোষণা করলে, তাকে দ্বিতীয় শুনানিতে আর বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না।
অমিত শাহ নৈশভোজ সারবেন সৌরভের বাড়িতে, মমতার মন্তব্য থেকে রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে কী বললেন মহারাজ?