চাকরি না পেয়ে হতাশ ইঞ্জিনিয়ার ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বোমা রাখে, আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের
চাকরি না পেয়ে হতাশ ইঞ্জিনিয়ার মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বোমা রাখে, আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের
ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সোমবার। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে বুধবার বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল উদুপির মণিপালের বাসিন্দা আদিত্য রাও নামে এক ব্যক্তি। সে নিজেই ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি রেখে আসে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। তাকে পরে জেরার জন্য হালসুর গেট পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আদিত্য রাওয়ের আত্মসমর্পণের পর ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার ডঃ পিএস হর্ষ টুইট করে জানান যে তাঁর দল তদন্তের জন্য বেঙ্গালুরু যাচ্ছে।
এর আগেও এ ধরনের অপরাধ করেছে
৩৬ বছরের আদিত্য একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও এমবিএও করেছে সে। এর আগেও আদিত্য অপরাধ করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। তাকে ২০১৮ সালে বিস্ফোরক রয়েছে এমন ভুয়ো ফোন করার জন্য গ্রেফতার করা হয় এবং সে ছ'মাসের জন্য জেল খাটে। পুলিশ জানিয়েছে, যদিও আদিত্য কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয় ঠিকই কিন্তু বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চাকরি থেকে প্রত্যাখাত করে দেওয়ার পরেই আদিত্য এ ধরেনর ভুয়ো ফোন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাও নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সঙ্গে না নিয়ে আসায় তাকে এই চাকরিটি দেওয়া হয় না। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই আদিত্য ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ফোন করে জানায় যে পার্কিং লট ও এয়ারক্রাফটে বিস্ফোরণ রাখা রয়েছে।
ভুয়ো ফোন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করত আদিত্য
আত্মসমর্পণ করে রাও স্বীকার করেছে যে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে সে বিস্ফোরণ রেখেছিল। এর পাশাপাশি আদিত্য স্বীকার করেছে যে এর আগেও সে বহু এ ধরনের ভুয়ো ফোন করেছে। যাইহোক, পুলিশ এখন তদন্ত করছে, কীভাবে রাও এ ধরনের উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সে কোথা থেকে বিস্ফোরক এবং অন্যান্য জিনিস পেয়েছিল? যদিও বিস্ফোরকটির তীব্রতা খুবই কম ছিল, কিন্তু তাও সেটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি।
পুলিশের জালে আগেও গ্রেফতার
পুলিশ জানিয়েছে, আদিত্য যেখানে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকত সেখান থেকে ল্যাপটপ চুরি করার দায়ে আগেও গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের কাছে এবং তিনমাস জেলে থেকেছে। রাওয়ের গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন যে তদন্ত যথাযথভাবে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে কাজের সন্ধানে বেঙ্গালুরু আসে আদিত্য রাও এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরিও পায় সে। কিন্তু খুব অল্ল সময়ের মধ্যে সে তার চাকরি ছেড়ে দেয় এবং ম্যাঙ্গালুরুতে এসে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করে। সে কিছুদিনের জন্য উদুপিতে রান্নার কাজও করেছিল। কিন্তু ফের আদিত্য বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসে এবং বীমা সংস্থায় যোগ দেয়। এই চাকরিটিও সে ছেড়ে দেয় এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরির চেষ্টা করতে শুরু করে।
প্রতীকী ছবি