মোদী সরকার কেন দাম কমাল পেট্রোলের, কী বলছে কংগ্রেস
মোদী সরকার কেন দাম কমাল পেট্রোলের, কী বলছে কংগ্রেস
কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার জানিয়েছিল পেট্রোল (petrol) ও ডিজেলে (diesel) লিটার পিছু যথাক্রমে ৫ ও ১০ টাকা শুল্ক হ্রাস করা হবে। যা কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ছটা থেকে। যা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের (congress) সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) এবং পি চিদাম্বরম।। ভয়েই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
হৃদয় থেকে নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভয়ে
টুইট
করে
প্রিয়ঙ্কা
গান্ধী
বলেছেন,
বিজেপি
নেতৃত্বাধীন
কেন্দ্রীয়
সরকার
যে
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে,
তা
হৃদয়
থেকে
নেওয়া
নয়,
ভয়ে
নেওয়া
হয়েছে।
এই
সরকার
সামনের
নির্বাচনেই
এর
উত্তর
পেয়ে
যাবে
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
অন্যদিকে
প্রবীণ
কংগ্রেস
নেতা
পি
চিদাম্বরম
বলেছেন,
৩০
টি
বিধানসভা
এবং
৩
টি
লোকসভার
ফলের
বাইপ্রোডাক্ট
হল
এই
মূল্য
হ্রাস।
তিনি
বলেছেন,
এর
থেকেই
প্রমাণ
হয়ে
গেল,
জ্বালানির
বেশি
মূল্য
সরকারের
শুল্কের
কারণে।
যা
কংগ্রেস
দিনের
পর
দিন
অভিযোগ
করে
এসেছে।
সরকারের
লোভের
কারণেই
এই
পরিস্থিতি
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
প্রসঙ্গত
৩০
অক্টোবরের
উপনির্বাচনে
বিধানসভার
২৯
টি
আসনের
মধ্যে
বিজেপি
ও
তার
সহগোযীরা
১৪
টি
আসন
পায়।
অন্যদিকে
লোকসভার
তিনটি
আসনের
মধ্যে
বিজেপি
পায়
১
টি
আসন।
এদিন সকাল থেকে দাম কমেছে
এদিন সকালে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ৫.৮২ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪.৬৭ টাকায়। অন্যদিকে ডিজেলের দাম ১১.৭৭ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৭৯ টাকায়। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল লিটার পিছু ১১০ টাকার ওপরে। যা কমে ১০৫ টাকার আশপাশে গিয়েছে। অন্যদিকে ডিজেল ৯৮ টাকা থেকে কমে ৮৮ টাকা আশপাশে গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলির কাছে ভ্যাট কমানোর আবেদন করা হয়েছে। সেই মতো ৯ টি বিজেপি এবং এনডিএ শাসিত রাজ্য সর্বোচ্চ লিটার পিছু ৭ টাকা করে জ্বালানির দাম কমিয়েছে।
সরকারকে জুমলানোমিক্স বলে আক্রমণ কংগ্রেসের
এর আগে কংগ্রেসের তরফে মুখপাত্রা রণদীপ সুরজেওয়ালা নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপকে জুমলানোমিক্স বলে আক্রমণ করেন। তিনি বলেছেন, প্রথমে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ২৮ ও ২৬ টাকা লিটার পিছু বাড়িয়ে এবার ৫ ও ১০ টাকা কমানো হচ্ছে, আর বলা হচ্ছে দিওয়ালির পুরস্কার।
সরকারের সিদ্ধান্তকে ভোটে হারার সঙ্গে জুড়েছেন বিরোধীরা
পেট্রোল
ও
ডিজেলের
শুল্ক
কমানোর
সরকারি
সিদ্ধান্তকে
কয়েকটি
রাজ্যে
উপনির্বাচনে
হারার
জন্যই
বলে
মন্তব্য
করা
হয়েছে
বিভিন্ন
বিরোধীদের
তরফে।
অসম,
হিমাচল
প্রদেশ,
কর্নাটকের
মতো
রাজ্যে
বিজেপি
আসন
হারিয়েছে
কংগ্রেসের
কাছে।
ফলাফল
বেরোনার
পরের
দিনই
এই
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের
শেষের
দিক
থেকে
প্রায়
প্রতিদিনই
নিয়ম
করে
৩৫
পয়সা
করে
বেড়েছিল
পেট্রোল
ও
ডিজেলের
দাম।
এর
কারণ
হিসেবে
উঠে
এসেছে
অন্তর্জাতিক
বাজারে
উৎপাদন
কমে
যাওয়া
এবং
কেন্দ্র
ও
রাজ্য
সরকারগুলির
শুল্ক।
অন্যদিকে
জ্বালানির
শুল্ক
হ্রাসও
এখনও
পর্যন্ত
সর্বাধিক।
ত্রিপুরায় 'সেমিফাইনাল' শুরুর আগেই ধাক্কা তৃণমূলে, বিরোধীদের মধ্যে তুলনামূলক ভাল জায়গায় বামেরা