'নরকের দ্বার' থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দামামা বাজালেন নরেন্দ্র মোদী
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার শুরু করার 'নরকের দ্বার' হিসেবে পরিচিত মঘরকে বেছে নিলেন মোদী।
'নরকের দ্বার' মঘর থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে বিজেপির লোকসভা ভোট প্রচারের উৎকেন্দ্র ছিল স্বর্গের দ্বার হিসেবে পরিচিত বারানসী। এবার ঠিক বিপরীত মেরুতে গেলেন, তাঁর অন্যতম কারণ দলিত-বিরোধী, মুসলিম বিরোধী তকমা ঝেড়ে ফেলা।
এদিন অবশ্য বিজেপির কোনও কর্মসূচী ছিল না। সরকারি কর্মসূচিতে উত্তরপ্রদেশের মঘরে এসেছিলেন মোদী। তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। মঘরে মোদী সন্ত কবীরের মাজারে যান। সেখানে চাদরও চড়ান। বলেন, তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল এখানে আসার। যে গুহায় কবীর সাধনা করতেন সেই পবিত্র স্থান ভ্রমণ করার।
তারপর তিনি মঘরে সন্ত কবীর অ্যাকাডেমির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এই অ্যাকাডেমিতে সঙ্গীত ও নৃত্য প্রশিক্ষণ এর সঙ্গে, কবীর গবেষণালয়, লাইব্রেরী, অডিটোরিয়াম. হোস্টেল, ও গ্যালারি তৈরি হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বক্তৃতায় বলেন, 'কবীরের সাধনা বিশ্বাসের নয় জ্ঞানের সাধনা।' তাই কবীর অ্য়াকাডেমি তাঁর পথকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দাবি করেন মোদী। তিনি জানান কবীর মঘর নিয়ে কুসংস্কার ভাঙবেন বলেই এখানে সমাধী নেন। তিনি আরও বলেন কবীর সব জাতপাতের ঊর্ধে উঠতে পেরেছিলেন বলেই সবাই তাঁকে ভালবাসে।
এরপরই তিনি চলে আসেন রাজনীতির কথায়। বিরোধীরা বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে সমালোচনা করে। এদিন তাদের পাল্টা সমালোচনা করে বলেন, তারাই একদিন দেশে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল। এরা কেবল নিজের আর নিজেদের পরিবারের কথা ভাবে। তাই এখন ক্ষমতার লোভে সেই জরুরি অবস্থা জারি করা দল আর তাদের বিরোধীরা সব একসঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এরপর তিনি তার সরকারের দনধন যোজনা থেকে শিরি করে যাবতীয় সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন।
এদিনের সভা, রাজনৈতিক সভা না হলেও, এই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 'নরকের দ্বার'-কে এর জন্য বেছে নেওয়াটাও বিশেষ তাপর্যপূর্ণ। সমালোচকদের দাবি, কবীরের সমাধীস্থান শুধু নয়, মঘর হল দলিত ও মুসলিম প্রধান এলাকা। সেখানে দাঁড়িয়ে কবীরের দোহা আউরে তিনি বিজেপি ও নিজের গা থেকে দলিত-বিরোধা, মুসলিম বিরোধী তকমাগুলি মুছে দিতে চাইলেন।