জিএসটিতে ভুয়ো তথ্য, সরকারি কোষাগার থেকে টাকা তুলছে ব্যবসায়ীরা
কর ফাঁকি রুখতে জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নয় নয় বছর দুয়েক কেটে গেল জিএসটি চালু হওয়ার পর। এরই মধ্যে আবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে জিএসটি ফাঁকির একাধিক ঘটনা।
কর ফাঁকি রুখতে জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নয় নয় বছর দুয়েক কেটে গেল জিএসটি চালু হওয়ার পর। এরই মধ্যে আবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে জিএসটি ফাঁকির একাধিক ঘটনা।
কেন্দ্রীয় জিএসটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জিএসটিতে ভুয়ো তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দাবি করেছে। ভুয়ো তথ্যে ভরে গিয়েছে জিএসটি ফাইল। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে এরকম প্রায় ১,৬২০টি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে প্রায় ১১,২৫১ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
এমনকী ১ এপ্রিল থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেও ঘটেছে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা। এই তিন মাসের মধ্যে প্রায় ৫৩৫টি এরকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। জিএসটি ফাঁকি দেওয়া এবং ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ২ বছরে।
রিপোর্ট বলছে ১ জুলাই পর্যন্ত ৮.১৯ লাখ কোটি টাকার আইটিসির দাবি জানিয়েছেন করদাতারা। শুধু মাত্র অন্ধ্র প্রদেশ থেকেই ৬.৪৫ লাখ কোটি টাকার আইজিএসটি-আইটিসি ফেরত চেয়েছেন করদাতারা। তারপরেই টনক নড়ে কেন্দ্রীয় জিএসটি কর্তৃপক্ষের। অডিট শুরু হতেই থরে থরে জিএসটি ফাঁকির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ভুল তথ্য দিয়ে সরকারের ঘর থেকেই টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।