সবরিমালায় মেয়েদের প্রবেশাধিকার, রায়ে বাধা দিলেন একমাত্র মহিলা বিচারপতি
৫৩ বছরের পুরনো প্রথাকে এদিন আইনি যুক্তিতে বাতিল করে, কেরলের সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের অবাধ প্রবেশের সপক্ষে সায় দেয় সুপ্রিমকোর্ট।
৫৩ বছরের পুরনো প্রথাকে এদিন আইনি যুক্তিতে বাতিল করে, কেরলের সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের অবাধ প্রবেশের সপক্ষে সায় দেয় সুপ্রিমকোর্ট। এমন এক ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। উল্লেখ্য, এই বিচারপতিদের বেঞ্চ এদিন ৪:১ অনুপাতে রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই রায় সমস্ত বয়সের মহিলাদের সাবরিমালা মন্দিরে অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়ার পক্ষে গিয়েছে। যদিও বিচারপতিদের মধ্যে মহিলা বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এই প্রবেশাধিকার দেওয়ার সপক্ষে ছিলেন না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকার,বিচারপতি আর নারিমন, বিচারপতি ডি চন্দ্রচূড় প্রথম থেকেই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের সপক্ষে ছিলেন। তবে বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি উন্দপ মালহোত্রা এর সপক্ষে ছিলেন না। ইন্দু মালহোত্রা তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, এই ধরনের ইস্যু অন্য ধর্মের ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই ধরনের রায়ে আদালতের ধর্ম নিরপেক্ষ আঙ্গিক হজার রাখার প্রসঙ্গটিও তিনি উত্থাপন করেন এদিন। বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা বলেন, কোনও বিবাদের ক্ষেত্রে সমানাধিকার ও ধর্মীয় রীতি পালনের অধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মৌলিক। তাঁর বিচারে, তিনি সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রায় দেন।
[আরও পড়ুন:সবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশের অনুমতির রায় দিতে গিয়ে ঠিক কী বলল শীর্ষ আদালত]
বিচরপতি মালহোত্রা বলেন, ভারতের বিভিন্ন ধরনের ধর্ম রয়েছে। সংবিধান সেই ধর্মীয় প্রক্রিয়া পালনের স্বাধীনতা দেয়। কোনও ভাবেই ধর্মীয় বিষয়ে আদালতের প্রবেশ করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে শুধু সবরিমালা নয়, অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়গুলিও এভাবে উঠে আসবে। গভীর ধর্মীয় ভাবাবেগে প্রবেশ কার উচিত নয় বলে মত দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে সায় সুপ্রিম কোর্টের]