১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা নিয়ে কী মত ছিল ইন্দিরা সরকারের মন্ত্রী প্রণবের
১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা নিয়ে কী মত ছিল ইন্দিরা সরকারের মন্ত্রী প্রণবের
বসন্তের বজ্রনির্ঘোষে আলোড়িত হয়েছিল গলি থেকে রাজপথ। অস্থির হয়েছিল সময়। সেই সময়ই ফিরে এল আরও একবার। ফিরে এনেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
দেশে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সাক্ষী দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। ছিলেন ওই কংগ্রেস মন্ত্রিসভারই অন্যতম সদস্য। তবু সেই জরুরি অবস্থাকে কি মন থেকে মেনে নিতে পেরেছিলেন প্রণব! দুই বছর আগে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন ভারতরত্ন।
জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রণবের অনুভূতি
দেশের প্রাক্তন তথা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অতি আস্থাভাজন হওয়া সত্ত্বেও ১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন কংগ্রেস ও সরকারের সঙ্গে জুড়ে থাকার সৌজন্যে কর্ম জীবনে যে কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি, অবসরের পর তা-ই সোজাসাপ্টা ভাষায় বলেছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
কী বলেছিলেন প্রণব
২০১৮ সালের এক সাক্ষাৎকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দেশে জরুরি অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। স্বাধীনতা এবং সংবিধানের ওপর আঘাত হানা হয়েছিল বলে মনে করেন ভারতরত্ন। তাঁর কথায়, ১৯৭৫-এর অস্থির সময়ে জরুরি অবস্থার অপব্যবহার করা হয়েছিল। চাইলে এমন পরিস্থিত আটকানো যেত বলেও মনে করেছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
রাজনৈতিক যুদ্ধ ছাড়া কিছু নয়
দুই বছর আগের ওই সাক্ষাৎকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা নিয়ে গর্ববোধ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। দেশের স্বার্থে ওই আইন বলবৎ করা দরকার ছিল বলে কংগ্রেসের অন্দরে যে আলোচনা চলে, তাও জানতেন প্রণব। কিন্তু তিনি সেই সরকারে থেকেও ১৩ মাসের জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে এসেছিলেন বলে সাফ জানিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। বলেছিলেন, তিনি জানতেন যে সেই লড়াইয়ের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।
এমন পরিস্থিতি দেখেনি ভারত
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশে জরুরি অবস্থার মতো দুঃসময় তিনি দেখেননি বলে জানিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এমন ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
১৩ ছিল 'লাকি নম্বর' আর জীবনাবসান ৩১ তারিখে! প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জীবনে সংখ্যাতত্ত্ব ঘিরে অজানা কথা