আর কত প্রজন্ম সংরক্ষণের সুবিধা পাবে? সুপ্রিমকোর্টের প্রশ্নে জোর জল্পনা
আর কত যুগ ধরে চাকরি বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম লাগু থাকবে? আর কটা প্রজন্ম এই সুবিধা ভোগ করবে? কোনও অনগ্রসর শ্রেণিই কি এখনও অগ্রসর হয়নি? শুক্রবার মারাঠা কোটা সংক্রান্ত একটি শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন উত্থাপন করে সুপ্রিমকোর্ট। সংরক্ষণের জেরে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সুপ্রিমকোর্ট। এদিন অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে এই মামলার শুনানি হয়।
'সংরক্ষণের বিষয়টি রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত'
এদিন মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী মুকুল রোহতাগি সুপ্রিমকোর্টে দাবি করেন, মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণের যেই নিয়ম চলে আসছে তা এই বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে বদলানো উচিত। মুকুল রোহতাগি আরও দাবি তোলে, কোটার সংরক্ষণের বিষয়টি রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
মারাঠাদের জন্য ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের দাবি
মুকুল রোহতাগির যুক্তি, মণ্ডল রায়টি ১৯৩১ সালের জনগণনার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় থেকে বর্তমান সময়ে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সেই ক্ষেত্রে বর্তমান নিয়মে বদল আনা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে সেরাজ্যে মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণ চালু করার পক্ষে জোর সওয়াল করেন। মহারাষ্ট্রে মারাঠাদের জন্য ১৬ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন রোহতাগি।
কী বলল সুপ্রিমকোর্ট?
এদিকে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন প্রশ্ন তোলেন, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যদি ৫০ শতাংশের অথবা কোনও ঊর্ধ্বসীমাই না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকারের বিষয়টির কী হবে? উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ইন্দিরা সহায় মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশ পেরোনো চলবে না। কিন্তু এই মামলার প্রেক্ষিতে যদি মারাঠাদের যদি ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়, তাহলে সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যাবে।
কেন্দ্রের সংরক্ষণের নিয়ম নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন
তবে এর পাল্টা সওয়াল করেন রোহতাগিও। তিনি বলেন, 'আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছিল, সেই ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা পেরোচ্ছে।' পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আদালতের এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।