মক্কা–মদিনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যার জমি, মন্তব্য প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টরের
মক্কা–মদিনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যার জমি, মন্তব্য প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টরের
ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর কেকে মহম্মদ অযোধ্যা রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অযোধ্যা বিতর্কিত মামলায় 'সবচেয়ে নিখুঁত রায়’ হয়েছে এবং এই রায় যেন সকলে মেনে চলে এই আবেদন করেছেন তিনি।
শনিবারই সুপ্রিম কোর্ট রাম জন্মভূমি–বাবরি মসজিদ বিতর্কিত মামলার রায়দান করে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করে মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে যে মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডিরেক্টর জানান, ওই বিতর্কিত জমিটি মুসলিমদের জন্য অতটাও জরুরি নয়। কারণ এই জমির সঙ্গে ইসলামের কোনও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বা প্রচারক জড়িত নেই। প্রাক্তন ডিরেক্টর বলেন, 'এটা একেবারে নিখুঁত রায় হয়েছে যেটা আমি সবসময়ই ভেবেছি। তবে এটা যে এতটা নিখঁত হবে তা ভাবতে পারিনি। গোটা জমিটিই হিন্দু সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হল। মুসলিমদের কাছে যেমন মক্কা মদিনা গুরুত্বপূর্ণ, হিন্দুদের কাছে তেমনি এই জমিটি।’ তিনি আরও বলেন, 'মুসলিমদের কাছে এই জমিটি অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ এর সঙ্গে মুসলিমদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হযরত মহম্মদ যুক্ত নন বা নিজামুদ্দিন অউলিয়া, খাজা মইনুদ্দিন কিস্টির মতো ইসলামের কোনও ব্যক্তিও যুক্ত নন। তাই সেদিক দিয়ে দেখতে হলে এই জমি হিন্দুদের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের কাছে নয়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।’
শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনুসন্ধানের কথা বহাল রাখেন। সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, 'ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের রিপোর্ট পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে যে ফাঁকা জমিতে বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয়নি। বিতর্কিত কাঠামোর নীচে আরও এক কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেটার সঙ্গে ইসলামিক কাঠামোর সম্পর্ক নেই। বিতর্কিত জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের আগে একটি কাঠামো ছিল।’ প্রাক্তন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডিরেক্টর জানান যে এই রায় সকলকে মেনে নেওয়ার জন্য আবেদন করছি। তিনি বলেন, 'এই ধরনের রায় আমরা চাই। সময় এসেছে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার এবং ঐক্যের ভারত গড়ে তোলার।’
১৯৭৬–৭৭
সালে
অয়োধ্যার
বিতর্কিত
জমিতে
প্রথম
খননকার্যের
সঙ্গে
জড়িত
ছিলেন
মহম্মদ।
তিনিই
একমাত্র
মুসলিম
ছিলেন
প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের
দলে
এবং
দাবি
করেছিলেন
যে
স্পষ্ট
প্রমাণ
পাওয়া
গিয়েছে
যে
এই
জমিতে
আগে
মন্দির
ছিল।