দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে
দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে
বিশেষজ্ঞরা বারবার দাবি করেছেন, মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে গণটিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র৷ সেই অস্ত্রে লড়ছে ভারতও। শনিবার গোটাদেশে এক কোটিরও বেশি টিকাকরণ সম্পন্ন হল। আর এভাবেই দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অর্ধেক টিকার দু'টি ডোজ পেলেন।
শনিবার ১ কোটির বেশি টিকাকরণ!
শনিবার সবমিলিয়ে ১.০৩ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে। যার মধ্যে বিহারে ১৫.৩৩ লক্ষ, তামিলনাড়ুতে ১৪.৮৪ লক্ষ, রাজস্থানে ১০.৮ লক্ষ, উত্তরপ্রদেশে ১০.২৪ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে৷ সম্প্রতি দেশে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। কর্নাটকের দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন অত্যন্ত সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টে৷ এমতাবস্থায় গণটিকাকরণে আরও জোর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ তারই ফলস্বরূপ এই এক্সপ্রেস টিকাকরণ৷ সরকারি তথ্য বলছে, এখনও রাজ্যগুলির হাতে ২১.৩৮ কোটি টিকা সঞ্চিত রয়েছে৷ দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। শনিবারের পর জনসংখ্যার ৫০.৩৫ শতাংশ দু'টি ডোজই পেয়েছেন।
কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী?
টিকাকরণ শুরুর একবছরেরও কম সময়ে এই মাইলস্টোনে পৌঁছোল ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, ' অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের সম্পূর্ণ টিকাকরণ করতে পেরেছি।'
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগোচ্ছে ভারত!
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে ভারতের অবস্থা এখন খুব একটা মন্দ নয়। পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে বোঝা যাবে, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে দেশ। শনিবার অবধি দেশের মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৪ জন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা আছড়ে পড়ার পর থেকে যা কিনা সর্বনিম্ন৷ গত ৬০ দিন ধরে দৈনিক পজেটিভিটি রেট ২ শতাংশের নিচে থাকছে। গত ২০ দিন ধরে এটি থেকেছে ১ শতাংশের নিচে।
সংক্রমণ বাড়ছে বেশ কিছু জেলায়!
তবে এতকিছুর পরেও চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। দেশের ৩০টি জেলায় বাড়ছে করোনা। এই কারনেই ওড়িশা, কেরল, জম্মু-কাশ্মীর, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্নাটক সরকারকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীত স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন যাতে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলির রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠায়, তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের জেরে সেই জেলাগুলির সমস্ত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্যও পাঠাতে বলা হয়েছে সেই চিঠিতে৷