কৃষি আইনের 'বল' গড়াল শীর্ষ আদালতে! আরও অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে কেন্দ্র?
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। শীর্ষ আদালতে দায়ের করা পিটিশনে আবেদন করা হয়েছে, দেশের কৃষকদের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের কৃষি আইন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করুক। কিষাণ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ভানু প্রতাপ সিং দাবি করেন, এই তিনটি কৃষি আইনের ফলে বেসরকারি কোম্পানিদের চাপে সমস্যায় পড়বে কৃষকরা।
৫০০-র বেশি কৃষক সংগঠন সরব
এই আইন সম্পর্কে মামলা দায়েরকারীদের অভিযোগ, এই আইন অবৈধ। কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সরকার এই তিনটি আইন নিয়ে এসেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাকারীদের দাবি, অবিলম্বে এই আইনগুলি প্রত্যাহার করা হোক। এরপর পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ দেশের বেশ একাধিক রাজ্যের ৫০০-র বেশি কৃষক সংগঠন সরব হয়েছে এই আইনের বিরুদ্ধে।
পাঁচবার বৈঠক করেছেন কৃষক সংগঠনগুলি
এখনও পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে পাঁচবার বৈঠক করেছেন কৃষক সংগঠনগুলি। তবে সমস্যা মেটেনি। মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে চিঁড়ে ভেজেনি৷ ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাজেশ তিকায়িত এই বিষয়ে বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত না এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ কৃষকদের আন্দোলন চলবে৷ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর মত, মন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে নতুন কিছু নেই৷ এবং কৃষকরা চাইছেন তাঁদের যেন দাবি পূরণ করা হয়৷
'কেন্দ্র নতুন কিছুই বলেনি'
রাজেশ তিকায়িত বলেন, 'কেন্দ্র নতুন কিছুই বলেনি৷ শুধু মাত্র 'প্রকল্প' সম্পর্কে বলা হয়েছে৷ কৃষি বিল নিয়ে কিছু বলা হয়নি৷ আমরা এমএসপির উপর আইন চেয়েছিলাম৷ আপনি এখনও সেটা করেননি৷ সারা দেশের কৃষকরা সেটা চায়৷ আমাদের কোঅর্ডিনেশন ঠিক করবে আমরা আবার বৈঠক করব কি না৷'
১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রতিবাদ
তিকায়ি আরও জানান, কৃষকদের ডাকা ১২ ও ১৪ তারিখের দেশজুড়ে প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হবে৷ কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের দাবি না মিটলে তাঁরা রেল অবরোধের পথেও যাবেন৷ তবে কৃষি আইনের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন নরেন্দ্র সিং তোমর৷ তিনি বলেন, 'কোনও আইনই সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে না৷ সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সমস্যাগুলি পর্যালোচনা করে আইনে পরিবর্তন করতে পারে৷'
অমিত শাহর আগে আগামীকালই রাজ্যে মোহন ভাগবত! হঠাৎ কেন বাংলায় আরএসএস প্রধান?