সারা ভারতজুড়ে রাজভবন চলো, ২৬ নভেম্বর কৃষক বিদ্রোহের দ্বিতীয় বার্ষিকী
সারা ভারতজুড়ে ফের আন্দোলনের ডাক দিলেন কৃষকরা। ২৬ নভেম্বর কৃষক বিদ্রোহের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ‘রাজভবন চলো’ ডাক দিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
সারা ভারতজুড়ে ফের আন্দোলনের ডাক দিলেন কৃষকরা। ২৬ নভেম্বর কৃষক বিদ্রোহের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে 'রাজভবন চলো' ডাক দিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। কৃষক সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন তাঁরা। রাজভবনে মিছিলেন প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতিমূলক সভাও হচ্ছে।
তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে কৃষকরা আন্দোলনো শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের সেই আন্দোলনের জেরে নমনীয় হয়ে হয় সরকারকে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সরকারকে তিনটি কৃষক আইন বাতিল করতে হয়। ২৬ নভেম্বর সেই কৃষক আইন বাতিলের দ্বিতীয় বার্ষিকী। সেই দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপনে কৃষক সংগঠনগুলি রাজভবন চলো ডাক দিয়েছ।
ওইদিন সারাদেশব্যাপী রাজভবন অভিযান করে রাজপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে। তার আগে এ ব্যাপারে দাবিসম্বলিত স্মারকলিপি তৈরি করতে ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসকেএমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৬ নভেম্বর কৃষক সংগ্রামের দু-বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশালা মিছিল করে রাজভবন অভিযানে যাবেন কৃষকরা।
এদিন অনলাইন কৃষকসভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা, দর্শন পাল, যুধবীর সিং, মেধা পাটেকর, রাজারাম সিং, অতুল কুমার অঞ্জন, সত্য়বান, অশোক ধাওয়ালে, অভীক সাহা, সুখদেব সিং, রামিন্দর সিং, বিকাশ শিশির, ডা. সনিলাম প্রমুখ। কৃষক নেতারা এই বৈঠকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে রাজভবন পদযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করে কৃষক নেতারা সরকারের বন সংরক্ষণ আইনের পরিবর্তন নিন্দা করেছেন। ১৫ নভেম্বর শহিদ বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করা আদিবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে সংহতি প্রকাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে হাজার হাজার কৃষক ২০২০ সালের নভেম্বরে দিল্লির সীমানা দখল করে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কেন্দ্র ২০২০ সালেই তিনটি কৃষি আইন এনেছিল। তা বাতিলের দাবিতে কৃষকরা সম্মিলিত হয়েছিলেন আন্দোলনে। ২০২১ সালের নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষি আইন বাতিল করে। তারপর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন স্থগিত করার কথা ঘোষণা করে। বিক্ষোভকারী কৃষকরা একইসঙ্গে কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, এমএসপিতে আইনি গ্যারান্টি ও বিক্ষোভের সময় নিহত কৃষকদের আত্মীয়ের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিল। এমনকী তাঁরা বিক্ষোভ অবস্থান থেকে অফসারিত হবেন না বলেও জানিয়েছিলেন কৃষক নেতারা।