'টু স্টেটস'-এর লড়াইয়েও মোদীর জয়জয়াকার! বুথ ফেরত সমীক্ষায় হারলেন রাহুল
৪ ডিসেম্বর গুজরাতের শেষ দফার নির্বাচন শেষ হতেই একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এই বুথ ফেরত সমীক্ষার সবটাতেই দেখানো হয়েছে গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখছে বিজেপি।
শেষ বেলায় নিজের ঘোর হিন্দু বলে দেখানোর চেষ্টা। পাতিদার থেকে পিছিয়ে পড়া জনজাতির হাত ধরা। তবু কাজে এল না রাহুল গান্ধীর কৌশল। নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ-র কৌশলের কাছে ফের হার মানছেন সদ্য সদ্য কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া রাহুল গান্ধী! অন্তত বুথ ফেরত সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।
১৪ ডিসেম্বর গুজরাতের শেষ দফার নির্বাচন শেষ হতেই একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এই বুথ ফেরত সমীক্ষার সবটাতেই দেখানো হয়েছে গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখছে বিজেপি। এমনকী, সেই সঙ্গে মোদীময় ভারতের ঝোলাতে ঢুকে পড়েছে হিমাচল প্রদেশও।
বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিতে যে ফল প্রতিফলিত হচ্ছে তাতে গুজরাতে বিজেপি-র দখলে যেতে পারে ১০৪ থেকে ১৩৫টি আসন। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৬৬ থেকে ৭৪টি আসন। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে সর্বাধিক ৪টি আসন। সন্দেহ নেই বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১১৫ পার করলেই কংগ্রেসের আসন সংখ্য়া ৬৬-রও নিচে নেমে যাবে।
তবে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাতের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের পক্ষে একটাই আশার খবর যে তাদের ভোট শেয়ারিং-এর পরিমাণ বাড়তে পারে। সি-ভোটারে বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০১৭-র গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি উঠে এসেছে বিজেপি এবার কারভা পাতিদার এবং লিওভা পাতিদার জনগোষ্ঠী থেকে বেশ ভালো পরিমাণ ভোট খুইয়েছে। সি ভোটার-এর করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি- লিওভা পাতিদার গোষ্ঠী থেকে ১০.১% সমর্থন হারিয়েছে। কারভা পাতিদারদের ক্ষেত্রে বিজেপি ১২% সমর্থন হারিয়েছে। কংগ্রেস এই দুই জনগোষ্ঠী থেকেই ১৬.৯% থেকে ১৯% ভোট পেয়েছে। কিন্তু, তার সত্ত্বেও গুজরাতের ক্ষমতা অধরাই থেকে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর দলের কাছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় আরও যে ফল দেখানো হয়েছে তাতে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কেও বড় ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস। সি-ভোটারের সমীক্ষায় মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক থেকে অন্তত ৪.১% ভোট পাচ্ছে বিজেপি।
যদিও, কংগ্রেসের জন্য কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়ে রেখেছে ইন্ডিয়া-টুডে-র সমীক্ষা। এতে ২৭টি আসনের কথা বলা হয়েছে। এই আসনগুলিতে হার-জিত-এর ব্যবধান থাকবে ১ থেকে ২ শতাংশ। কোনওভাবে এই আসনগুলিতে কংগ্রেস জয় পেয়ে গেলে তাহলে গুজরাতের মসনদে বসার একটা সুযোগ তাদের সামনে থাকবে।
হিমাচল প্রদেশেও কংগ্রেসের ভরাডুবি অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। কংগ্রেসের হাত থেকে এই রাজ্যটি হাতছাড়া হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। খুব সহজেই বিজেপি এখানে জয় পাচ্ছে বলে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে হিমাচল প্রদেশে অন্তত ৩৫ থেকে ৫১টি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। কংগ্রেস ২৫টি-রও কম আসন পাবে বলে সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।