অতিবৃষ্টিতে ভুগছে উত্তরপ্রদেশ, করোনার চেয়েও পরিস্থিতি খারাপ, বলছেন চাষিরা
Array
বর্ষার সময় সঠিক ভাবে না বৃষ্টি হওয়ার ফল ভুগছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানকার চাষিরা এখন বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা বলছেন এই বৃষ্টি করোনার থেকেও খারাপ। সারা বর্ষাকাল সেখানে ঠিক করে বৃষ্টি হয়নি, বর্ষা চলে যাওয়ার পর সেখানে হুরমুরিয়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর এটাই চাষিদের মাথায় হাত ফেলে দিয়েছে। সেখানকার ৭৫টি জেলার মধ্যে ৬৭টি জেলায় প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।
অতি বৃষ্টি
অতি বৃষ্টির ফলে জল জমেছে বহু শহর এবং গ্রামে। সমস্যা শুরু হয়েছে এরপর। ওই জমা জল এবার বাড়তে বাড়তে প্রবেশ করছে চাষিদের ক্ষেতেও। ওই জমা জল নষ্ট করে দিচ্ছে সবজি এবং শস্যকে। চাষিরা বলছেন যে, "আমরা এই চাষ করেছিলাম ধার নিয়ে। কিন্তু সেই ব্যাঙ্ক থেকে ধার নেওয়া টাকা এবার জলে চলে গিয়েছে। বৃষ্টির জল অস্ত করে দিয়েছে আমাদের ফলানো ফসল। চাষিরা জানাচ্ছেন বৃষ্টির জমা জলে নষ্ট হয়েভহে ধান, গম, আলু, জোয়ার, বাজরা, রাগি সব কিছু।
ফসলে ক্ষতি
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আসতে শুরু করে নতুন আলু। কিন্তু এই বছরে সে সব হয়নি। সাত হেকটর কৃষি জমিতে বৃষ্টির জলের বড় প্রভাব পড়েছে। বৃষ্টিতে পচিয়ে দিয়েছে আলু। নাগাড়ে বৃষ্টিতে জল জমে রয়েছে ক্ষেতে। জল সরানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জল জমে পচিয়ে দিচ্ছে আলু ।
অতি বৃষ্টি
জানা গিয়েছে যে ইটাওয়াতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটা লং পিরিয়ড এভারেজের অনুযায়ী ৮৭৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি বলে জানা যাচ্ছে। গোন্ডা জেলাতে রেকর্ড ২৪৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে যা সময়ের নিরিখে ৮৮৩ শতাংশ বেশি বলে জানা যাচ্ছে। এই সময়ের লং পিরিয়ড এভারেজ ২৫.৩ মিলিমিটার সেটাই এত বেশি হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রভাব পড়ছে ফসলে।
কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ?
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন কৃষকদের সমস্যা দুরিকরনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। নজর দিতে বলা হয়েছে যে চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে হিসেব করতে শুরু করেছে।
আইএমডি বলছে যে, উত্তরপ্রদেশে বর্ষায় এই বছর ৩০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সেই সময়ে ৭৫ জেলার মধ্যে ৫৩টি জেলা ব্যাপক বৃষ্টির ঘাটতিতে ভুগছিল। আর সময় পেরতেই তা এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। এর প্রভাব পড়েছে খারিফ শস্যে। একজন চাষি বলেছেন, এটা এক অন্যরকম বছর। এতদিন করোনার সমস্যা ছিল। তায় আমরা মানুষের জন্য চাষ করেছি, উপার্জন করেছি। কিন্তু বৃষ্টি ভোগায়নি। এই বছরের এই বৃষ্টি সবকিছুইকেই বিপদে ফেলে দিয়েছে। ফলে এটা বয়লতে আমাদের দ্বিধা নেই যে এই পরিস্থিতি করোনার চেয়েও খারাপ।