মোক্ষম আঘাত কংগ্রেসকে, ভোটের মুখে ভাঙন ধরিয়ে ‘হেভিওয়েটে’র যোগদান বিজেপিতে
২৪ ঘণ্টা আগেই ধাক্কা খেয়েছিল মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক সঞ্জয় সিং মাসানি বিজেপি চাপ বাড়িয়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে।
২৪ ঘণ্টা আগেই ধাক্কা খেয়েছিল মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক সঞ্জয় সিং মাসানি বিজেপি চাপ বাড়িয়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে এই ধাক্কা খেয়ে পাল্টা আঘাত করল বিজেপি। এবার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা প্রেমচাঁদ গুড্ডুকে দলে নিল বিজেপি।
ভোটের আগে দলবদলের খেলা
দুয়ারে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ভোট। যত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই দলবদলের খেলা শুরু হয়েছে, একবার কংগ্রেস ধাক্কা দিচ্ছে তো পরক্ষণেই বিজেপি পাল্টা ধাক্কা দিয়ে কংগ্রেস ভাঙছে। দলিত নেতা প্রেমচাঁদকে শেষমুহূর্তে পেয়ে শুধু শূন্যস্থান পূরণই হবে না, মালওয়া এলাকায় প্রভাব বিস্তারেরও সুযোগ মিলবে বলে মনে করছে বিজেপি।
প্রেমচাঁদ ‘হাতিয়ার’ বিজেপির
প্রেমচাঁদ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে অন্যতম। তার উপর তিনি দলিত নেতা। তাঁকে পেয়ে দলিত ভোটেও থাবা বসাতে পারবে বিজেপি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালক শত্রু শিবিরে পাড়ি জমালেও প্রেমচাঁদকে পেয়ে বিজেপি শিবিরে খুশির হাওয়া। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রেমচাঁদ গুড্ডুকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।
প্রেমচাঁদ বিজেপির প্রার্থী
ভোটের মুখে দলত্যাগী প্রেমচাঁদই ঘাটিয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন। সেই কারণে আগে থেকেই বিজেপির ঘোষিত প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। কংগ্রেসকে টক্কর দিতে তাঁদেরই প্রাক্তনীকে দাঁড় করিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি।
কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সুযোগ বিজেপির
বিজেপি প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়ার মোকাবিলায় বিরোধী কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। কারণ মধ্যপ্রদেশে প্রবীণ কমলনাথ ও জ্যোতিরাদিত্য ভারসাম্য বজায় রেখে চললেও, আর এক প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংকে নিয়ে দলের মধ্যে জল্পনা বাড়ছে। এখনও কংগ্রেস প্রার্থী স্থির করতে পারেনি। তা নিয়ে প্রকাশ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিগ্বিজয় সিং।
প্রেমচাঁদের কাছের মানুষ দিগ্বিজয়
প্রেমচাঁদের দলবদলে রাজনৈতিক সমীকরণও পাল্টে যেতে পারে। কারণ প্রেমচাঁদের খুব কাছের মানুষ ছিলেন দিগ্বিজয় সিং। রাজনৈতিক মহলে এখন জল্পনা শুরু হয়েছে, প্রেমচাঁদের পর দিগ্বিজয়ও বিজেপিতে যোগ দেবেন না তো! কারণ দিগ্বিজয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ন মতবিরোধী চলছে কংগ্রেসের। প্রেমচাঁদের ছেলেও যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
দলবদলে প্রেমচাঁদের ক্ষোভ
দলবদলের পরই ক্ষোভ উগরে দিলেনে প্রেমচাঁদ। তিনি বলেন, কংগ্রেস দলিত ও কিংবা গরিব, কারও কোনও সমস্যা বোঝার চেষ্টা করে না। দলের নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করতেই ব্যস্ত। মানুষের জন্য আর কাজ করবে কি? প্রেমচাঁদ বলেন, সেই কারণেই তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রেমচাঁদ।