চুরির দায়ে গ্রেফতার প্রাক্তন ভারতীয় সেনা; মৃত্যু তিহার জেলে
চুরির দায়ে গ্রেফতার প্রাক্তন ভারতীয় সেনা; মৃত্যু তিহার জেলে
তিহার জেলের মধ্যেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক প্রাক্তন আধিকারিকের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হলো চাঞ্চল্য। গত ২রা নভেম্বর বছর চৌষট্টির ভারতীয় সেনার প্রাক্তন ওই কর্মীকে এক চুরির ঘটনার তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর ও দিল্লি পুলিশ। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় মুকেশ চোপড়া নামক ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
জেলেই আত্মহত্যা প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের
গ্রেফতারির সময় তার কাছ থেকে সন্দেহজনক কিছু দ্রব্য ও ভারতীয় সামরিক বাহিনী সম্পর্কিত কিছু নথিও মিলেছে। গত ২রা নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করার পর তিন দিনের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪০ ধারা (আবাসিক বাড়িতে চুরি) এবং ৪১১ ধারা(অসাধুভাবে চুরির সম্পত্তি গ্রহণ) এর অধীনে মামলাও রুজু করা হয়। পুলিশি হেফাজতের পরে তাকে তিহার জেলে পাঠানো হলে সেখানেই তিনি অজ্ঞাত কোনও কারণে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যাচ্ছে।
জেলের পাশের মাঠ থেকে উদ্ধার দেহ
তিহার জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “সমস্ত নতুন কয়েদিদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ জেলের অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় সেনার প্রাক্তন ওই অধিকারিক তখন হঠাত্ সকলের নজর এড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে যান। পরে দেখা যায় জেলের বাকি কয়েদিরা উপস্থিত থাকলেও ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের কোন ও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।”
তারপেরেই উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকেরা জেল চত্বরে শুরু করেন চিরুনি তল্লাশি। কিছুক্ষণ পরেই মুকেশ চোপড়ার দেহ পার্শ্ববর্তী একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী সফদারজং হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে ওইদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করলেও পুরো ঘটনাটির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।