অভিনন্দনকে নিয়ে কেন পাকিস্তানের থরহরিকম্প ধরেছিল! পাক নেতার বক্তব্য ইস্যুতে ব্যাখ্যা দিলেন ধানোয়া
'ঠিক রাত ৯ টায় ভারত আক্রমণ করতে পারে যদি না অভিনন্দনকে ছাড়া হয়', পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে এই বক্তব্য ছিল পাকিস্তানি মুসলিম লিগ এন-এর সাংসদ আয়াজ সাদিকের। এই একটি বক্তব্যই কার্যত আজ দিনভর পারদ চড়িয়েছে ভারতের রাজনীতির। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধনোয়া জানিয়ে দিলেন , সেদিন রাতে কেন পাকিস্তান ভয় পেয়েছিল।
কী বলেছেন পাকিস্তানের নেতা?
' আমার মনে পড়ছে শাহ মেহদমুদ কুরেশি (পাক বিদেশমন্ত্রী) সেই বৈঠকে ছিলেন। ইমরান খান বৈঠকে আসতে চাননি। পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া ঘরে এলেন, তাঁর পা কাঁপছিল, ঘামছিলেন তিনি। বিদেশমমন্ত্রী বলেন ছেড়ে দেওয়া হোক অভিনন্দন বর্তমানকে। নয়তো ভারত রাত ৯ টার মধ্যে হামলা করবে।' একথা পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন সেদেশের সাংসদ আয়াজ সাদিক।
বিএস ধনোয়ার বার্তা
এদিকে, বিএস ধনোয়া জানান, অভিনন্দন যখন পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েন, তখন অভিনন্দের বাবা যিনি নিজেও প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসার ছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ভারতের তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধনোয়া। বিএস ধনোয়া জানান, তাঁর বারবার সেদিন, প্রাক্তন বায়ুসেনা পাইলট অজয় আহুজার (তিনিও পাকিস্তানের হাত ধরা পড়েন) কথা মনে পড়ছিল। আর উদ্বেগ হচ্ছিল। তবে তিনি জানান, তিনি সেদিন এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে আহুজাকে আর ফেরানো না গেলেও অভিনন্দনকে ফেরানো যাবে।
কেন পাকিস্তান ত্রস্ত ছিল?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধনোয়া বলেন, মূলত সেই রাতে প্রবল চাপ পাকিস্তানের ওপর ছিল। আর পাক সেনা প্রধানের পা কাঁপার অন্য়তম কারণ ছিল ভারতের সেনার 'পস্চার'। ভারতের তিন সেনা বিভাগ পাকিস্তানের দিকে তাক করে যেভাবে অবস্থান নেয় তাতে পাকিস্তান ভয় পায়।
ভারতীয় সেনা তখন মুখিয়ে ছিল!
প্রসঙ্গত বিএস ধানোয়া জানান, অভিনন্দন ইস্যুতে ভারতীয় সেনা তখন মুখিয়ে ছিল। এদিকে, দিল্লি সূত্রে সেই রাতে খবর ছিল মুসলিম দেশগুলিকে দিয়ে পাকিস্তানের ওপর অভিনন্দরকে ছাড়াতে চাপ দেওয়া হয় কূটনৈতিক চাপ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সৌদি আরব সেই সময় ভারতকে সাহায্য করেছিল।