স্ত্রী-হত্যার পরেও বিচারপতিদের যুক্তিতে মুক্ত স্বামী!নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে হাইকোর্টে 'যুগান্তকারী' রায়
স্ত্রীকে হত্যার পরেও আদালতের যুক্তিতে মুক্ত স্বামী! বিজেপি শাসিত রাজ্যে হাইকোর্টের 'যুগান্তকারী' রায়
স্ত্রীকে হত্যার পরেও হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি কর্নাটকের এক ব্যক্তির। এব্যাপারে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার হাইকোর্ট। ওই ব্যক্তিকে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে মামলাটি অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড, তবে হত্যার নয়।
নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঘটনাটি ছিল ২০১৬ সালের। কর্নাটকের চিকামাগালুরের মুদিগেরে থেকে সুরেশা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রী রাধাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় আদালত ২০১৭ সালে সুরেশাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা করেন সুরেশা। সুরেশা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন মীনাক্ষী নামে এক মহিলাকে। তাঁর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পরে তিনি রাধা নামে ওই মহিলাকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।
আদালতের ব্যাখ্যা
বিচারপতি কে সোমাশেখর এবং বিচারপতি টিজি শিবশঙ্কর গৌড়ার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, সুরেশার স্ত্রী রাধা খাবার তৈরি করেননি। যে ঘটনা অভিযুক্তকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছিল। অভিযুক্তের এই কাজ আইপিসির ৩০০-র অধীনে ব্যতিক্রমের পরিধির মধ্যে আসে। যেখানে ওই মহিলার মৃত্যু অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পড়ে।
অভিযুক্তকে মুক্তির নির্দেশ
ট্রায়াল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজার আদেশ পরিবর্তন করে হাইকোর্ট অভিযুক্তকে আইপিসির ধারা ৩০২-এর পরিবর্তে আইপিসির ধারা-II-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে।
আইপিসির ধারা ৩০৪ পার্ট-I-এর অধীনে অপরাধের জন্য ছয়বছর ২২ দিন জেলে থাকা যথেষ্ট বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে হবে।
স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার
২০১৬ সালে উৎসবের দিন বাড়িতে ফিরেছিলেন সুরেশা। তিনি দেখেন, স্ত্রী উৎসব উদযাপন করেননি আবার খাবারও রান্না করেননি। বদলে মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অনেক অনুরোধেও খাবার রান্না না করায় সুরেশা আঘাত করেন, যার জেরে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এরপরে পুলিশ সুরেশাকে গ্রেফতার করে।