পালাতে চাওয়া অপরাধীদের জন্য 'এনকাউন্টার'-ই পথ, যোগীর পথেয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
পালাতে চাওয়া অপরাধীদের জন্য 'এনকাউন্টার'-ই পথ, যোগীর পথেয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
ক্ষমতায় এসেই উত্তরপ্রদেশকে বাহুবলী মুক্ত করার রাস্তায় হেঁটেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ এবার তাঁকেই যেন অনুসরণ করছেন আর এক বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যটিতে শেষ ২মাসে ১২ টি এনকাউন্টার হয়েছে৷
এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে থেকে প্রশ্ন করা হয়, অসমের পুলিশের জন্য কী তাহলে এটাই নতুন প্যাটার্ন? উত্তরে হিমন্ত স্পষ্ট বলেন, 'যে অপরাধীরা পুলিশ কাস্টডি থেকে পালাতে চাইবে৷ কিংবা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরই আক্রমণ করতে চাইবে। তাদের জন্য এনকাউন্টারই প্যাটার্ন৷
সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত থানার ওসিদের সঙ্গে একটি মিটিং করছিলেন হিমন্ত। সেখানে তিনি বলেন, 'অপরাধী খুনি, ধর্ষক, যাই হোক না কেন পুলিশ কাস্টডি থেকে পালাতে কিংবা অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চাইলে তাঁকে বুকে নয় পায়ে গুলি করার অনুমতি দেয় আইন। কিন্তু সংবাদমাধ্যম আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল এনকাউন্টার কি প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে? আমি বলেছি পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে কিংবা পুলিশকে আক্রমণ করলে এনকাউন্টারই প্যাটার্ন হওয়া উচিৎ৷
অবশ্য এরপরই হিমন্ত আরও যোগ করে বলেন, 'এনকাউন্টার করার মধ্যে কোনও বিশেষ কৃতিত্ব নেই৷ এবং এটা কোনও সমাধানও নয়। কোনও উপায় না থাকলে এনকাউন্টার করতে হয়৷ এবং সবার মনে রাখা উচিৎ এনকাউন্টার দেশের ও সাধারণ মানুষের সুরক্ষার স্বার্থেই কেবলমাত্র হতে পারে। ব্যক্তিগত স্বার্থে কখনোই নয়। গণতন্ত্রে যথেচ্ছ আইন হাতে তুলে নেওয়া যায় না। কোন উপায় না থাকলেই এনকাউন্টারের কথা ভাবা উচিৎ। তার আগে নয়।