অ্যালার্মের প্রযু্ক্তিগত সমস্যা, কোয়াম্বাটুরে মালদ্বীপগামী গো ফার্স্ট বিমানের জরুরি অবতরণ
বেঙ্গালুরু থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার পথে কোয়াম্বাটুরে গো ফার্স্ট বিমান সংস্থার একটি বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে স্মোকিং অ্যালর্মের ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে কোয়েম্বাটুরের বিমান বন্দরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বিমানটির কোনও সমস্যা ছিল না।
বেঙ্গালুরু থেকে বিমানটি উড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই পাইলট স্মোকিং অ্যালার্মটি খেয়াল করেন। অ্যালার্মটি বাজতে শুরু করেছিল। এরপরেই তিনি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে বিমানের জরুরি অবতরণের আবেদন করে। কোয়াম্বাটুরের বিমানবন্দরে গো ফার্স্ট বিমানটি দুপুর ১২টা নাগাদ অবতরণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি থেকে যাত্রীদের নামানো হয়। বিমান বন্দরে দমকল হাজির ছিল। তবে বিমানটির তবতরণের সঙ্গে সঙ্গে স্মোকিং অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারটা বিমানটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারদের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি বেঙ্গালুরু থেকে মালদ্বীপে উড়ে যেতে পারত। কোনও সমস্যা ছিল না। তবে স্মোকিং অ্যালার্মটিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে বিমানটি আবার মালদ্বীপের উদ্দেশে রহনা দেয়।
গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার গো ফার্স্ট বিমান সংস্থাকে প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। গত সপ্তাহে গো ফার্স্টের একটি বিমান আহমেদবাদ থেকে রহনা দেয়। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কিন্তু পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের পর ফের আহমেদাবাদে ফিরে আসে। গত মাসের শুরুর দিকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে গুয়াহাটি গামী গো ফার্স্ট বিমানের উইন্ডোশিল্ডে ফাটল দেখা দেয়। অন্যদিকে, বার বার বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে স্পাইসজেট। জুন মাসের ২০ তারিখে দিল্লিগামী একটি বিমানে পাটনা বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন লেগে যায়। আকাশে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ফের পাটনা বিমানবন্দরে ফিরে আসে। ইন্ডিগোর এর একটি বিমান একই দিনে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে ফিরে আসে। পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বলে খবর।
গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক বিমান সংস্থার বিমানগুলোতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে একাধিক বিমানের জরুরি অবতরণ হয়। বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া বিমান সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বিমান সংস্থাগুলো বিমানের প্রযুক্তিগত সমস্যা মিটিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। ডিজিসিএ-এর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বেস এবং ট্রানজিট স্টেশনগুলিতে সমস্ত বিমান সংস্থার যথাযথ অনুমোদন নিতে হবে।