করোনা বিধি মেনে মার্চ-এপ্রিল মাসেই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সম্ভাবনা
সম্ভবত পিছচ্ছে না পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সমস্ত রকম কোভিড বিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়েই হতে পারে ভোট। এমনটাই নির্বাচন কমিশন সুত্রে খবর। দেশে লাগাতার ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। কয়েকটি রাজ্যে করোনা গ্রাফও উপরের দিকে। সেদিকে তাকিয়ে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখার আবেদন এলাহাবাদ হাইকোর্টের।

এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী এবং কমিশনকেও ভেবে দেখার আবেদনও করেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। আর এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয় যে সম্ভবত পিছিয়ে যেতে চলেছে পাঁচ রাজ্যের ভোট। যদিও কমিশনের সুত্রে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছে। সবকিছু ঠিক আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুর, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে।
কমিশন সুত্রে খবর গোয়া বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চ ১৫। সেই মাসেই ১৯ মার্চ শেষ হচ্ছে মনিপুর বিধানসভার মেয়াদ। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ মে। এছাড়াও আগামী বছরেই ভোট হওয়ার কথা রয়েছে উত্তরাখন্ড এবং পঞ্জাবেও। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন বিজেপির কাছে কার্যত প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। কারণ ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। আর এর আগে ২২ এর ভোট বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিকদলগুলির কাছেই বড় লড়াই। আর তাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সমস্ত দল। আর এই অবস্থায় ওমিক্রন আতঙ্ক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
কারণ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। প্রতি মুহূর্তে সংক্রমণের সংখ্যাটা বদলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের এহেন আবেদন জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও এই অবস্থায় আজ সোমবার জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিশনের আধিকারিকরা।
অন্যদিকে ওপর একটি নির্বাচন কমিশনের দল খোদ উত্তরপ্রদেশে গিয়েছে। একেবারে সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করেন তাঁরা। জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে সেই রাজ্যগুলিতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ দ্রুত গতিতে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতে প্রথম ডোজের করোনা টিকা একশো শতাংশ হয়ে গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি এবং মণিপুর ও পাঞ্জাবে ৮০ শতাংশের প্রথম ডোজ নেওয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যও কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।