ফোকাসে বিহার; করোনা আবহে কীভাবে হবে নির্বাচন? কমিশনের গাইডলাইনে থাকতে পারে যা যা...
করোনা আবহে যেমন বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিশ্বের বহু দেশেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণ থামার কোনও নাম নিচ্ছে না। এই অবস্থায় বিহারের নির্বাচন এগিয়ে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, সংক্রমণ যেই হারে বাড়ছে তাতে নির্বাচন কী সম্ভব? তবে সেসব প্রশ্ন আবার অনেকের কাছেই অবান্তর মনে হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, সব কিছুর মাঝেই আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে। এই আবহে এবার করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর দুই দিনের মধ্যেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা আবহে নির্বাচনের বিষয়ে দলগুলির সঙ্গে আলোচনা
করোনা আবহে নির্বাচন করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলির মতামতও গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া রাজ্য ভিত্তিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানকার সংস্থার মুখ্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এই সব আলোচনার বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখেই নির্বাচন কমিশন এক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
করোনার জেরে বাতিল একাধিক নির্বাচন
করোনা আবহে দেশে একের পর এক উপ-নির্বাচন বাতিল হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ২৪টি আসনের উপনির্বাচন আটকে, যা সে রাজ্যের সরকারের স্থায়িত্ব নির্ধারণের জন্যে অত্যন্ত জরুরি। তবে এরই মধ্যে এবছরের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
প্রস্তাব ভেবেচিন্তে দেখছে কমিশন
করোনা সংক্রমণের আবহে নির্বাচনের আয়োজন করতে গিয়ে ভোটারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব ভেবেচিন্তে দেখছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁদের গ্লাভস এবং খড়কে কাঠি সরবরাহের ব্যবস্থা, যাতে সরাসরি ইভিএম না ছুঁয়ে ভোট দেওয়া যায়।
ভোটারের আঙুলে মার্কা মারার জন্য ব্যবস্থা
এ ছাড়াও ভাবা হচ্ছে ভোটারের আঙুলে মার্কা মারার জন্য ব্যবহৃত কালি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জের সাহায্যে প্রয়োগ করা, পোলিং অফিসারের টেবিলে কাচের পার্টিশন বসানোর মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা। মাস্ক খুলে ভোটারের মুখ দেখার সময় যাতে সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকে, সেই কারণেই এই ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে।
প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার খরচ নিয়ে চিন্তা
তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে, ভোটার ও নির্বাচন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এই সমস্ত প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার খরচ নিয়ে। বিশেষ করে লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতির শ্লথ গতি তাতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।