ফের নরেন্দ্র মোদীকে বিতর্কিত ভাষণ ইস্যুতে ক্লিনচিট কমিশনের
ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট ভারতের নির্বাচন কমিশনের। রাজস্থানে বারমেঢ়ে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেনি বলেই কমিশন জানিয়েছে।
ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট ভারতের নির্বাচন কমিশনের। রাজস্থানে বারমেঢ়ে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেনি বলেই কমিশন জানিয়েছে। জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হয়েছে। গত মাসের ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরই বিরোধীরা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে। সেই বক্তব্যকে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন। কংগ্রেস দলের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী তাঁর জনসভার ভাষণে বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। বারবার সেনার কথা টেনে এনে বিতর্ক খাড়া করছেন।
রাজস্থানের সেই জনসভায় মোদী পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ভারতের পরমাণু বোমা দিওয়ালিতে ফাটানোর জন্য রাখা হয়নি। মোদীর বক্তব্য ছিল, ভারতে জঙ্গি হানা এখন খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ইস্টারের দিন মানুষ গির্জায় প্রার্থনা করছিল। সেখানে জঙ্গি হামলা হয়েছে। জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলেছে। এই মানুষেরা কি করেছিল? তারা শুধু প্রার্থনা করছিল।
মোদী বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ ডালপালা মেলছে। তাই জঙ্গিদের শিক্ষা দিতে আমরা তাদের ঘরে ঢুকে মেরে এসেছি। ভারতের এই সরকারের আমলে শক্তিশালী নীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, পাকিস্তানকে ভয় পাওয়া ভারত বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তান আগে বলতো যে আমাদের কাছে পরমাণু বোমার বোতাম রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে কী আছে? আমরা কি এটা দিওয়ালিতে ফাটানোর জন্য রেখে দিয়েছি?
মোদীর আরও কটাক্ষ ছিল, দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে আমি ঠিক কাজ করেছি, কংগ্রেস ও তার সঙ্গী-সাথীরা মনে করছে আমি ঠিক কাজ করিনি। মোদী বলেন, দেশের জনতা ও সেনাকে নিয়ে কংগ্রেসের ভাবনা একেবারেই আলাদা। এরপরই মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন।