ভাবমূর্তি নষ্ট হোক চাই না, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্ষমা না চাওয়ার অনুরোধ টিকায়েতের
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্ষমা না চাওয়ার অনুরোধ টিকায়েতের
কেন্দ্র তাঁদের দিকে মুখ ফেরাতে অনেকটাই দেরি করেছে। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলন কোনওমতেই মন গলাতে পারেনি কেন্দ্রের। তবে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার চাপে পড়ে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকাইত রবিবার জানিয়েছেন যে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হোক তা কৃষকরা চান না, তাই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা না চাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক কৃষক সংগঠন দিল্লির সিন্ধু সহ বেশ কিছু সীমানতে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বসেছিল। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র এই তিন কৃষি আইন খারিজ করেছে। টুইটে বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত হিন্দিতে বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাই না। আমরা তাঁর ভাবমূর্তি বিদেশে কলঙ্কিত হতে দিতে চাই না। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে তবে তা কৃষকদের সম্মতি ছাড়া নেওয়া হয়নি। আমরা সততার সঙ্গে ক্ষেতে চাষ করি কিন্তু দিল্লি আমাদের দাবির দিকে মনোযোগ দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে সরকার কৃষি আইন নিয়ে আবার এগোবে। এ প্রসঙ্গে টিকাইত জানান যে এই মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের প্রতারিত করা এবং প্রধানমন্ত্রীকেও অপমান করা। এখানে উল্লেখ্য, নাগপুরের একটি অনুষ্ঠানে এসে টোমার বলেন, 'আমরা কৃষি আইন এনেছিলাম। কিছু মানুষের তা পছন্দ হয়নি। কিন্তু সরকার হতাশ হয়নি। আমরা পিছিয়ে এসেছি তবে আমরা আবার এগিয়ে আসব কারণ কৃষকরাই দেশের মেরুদণ্ড এবং যদি মেরুদণ্ড শক্ত হয় তবে দেশ আরও মজবুত হবে।’ যদিও পরে মন্ত্রী অবশ্য স্পষ্ট করে জানান যে কেন্দ্রের এখন কোনও পরিকল্পনা নেই কৃষি আইন নিয়ে আসার এবং অনুষ্ঠানে তাঁর বলা বক্তব্যকে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে।
রাকেশ টিকাইত হুমকি দিয়েছেন যে কেন্দ্র যদি আবর কৃষি আইন পুনরায় নিয়ে আসে তবে তাঁরা ফের আন্দোলন শুরু করবেন। প্রসঙ্গত গত ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছিলেন। ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে এই তিন বিল আইন খারিজের বিল পাশ হয়। দিল্লি সীমন্তে কৃষকদের দীর্ঘ একবছর ধরে চলা আন্দোলন এই কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর শান্ত হয় এবং তাঁরা তাঁদের আন্দোলন বাতিল করে নিজেদের ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।