ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার: মোদী সরকারের উন্নতির একটি দিক
সামাজিক সুবিধার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ নগদ লেনদেন একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতও এই সুবিধার কথা বুঝতে পেরে অনেককটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে।
সামাজিক সুবিধার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ নগদ লেনদেন একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । ভারতও এই সুবিধার কথা বুঝতে পেরে অনেককটি নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে। UPAসরকারের আমল থেকেই শুরু হয়েছে এ নিয়ে অনেককটি পাইলট প্রজেক্ট। তবে প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পগুলি শুরু করার দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তার জন্য দায়ি ছিল তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বেশ কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা। দায়ি ছিল অর্থনৈতিক সমস্যাও। তাহলে কী মোদী সরকার আসার পর থেকে অন্যকিছু রকমের পরিবর্তন হল? কিছু কী আলাদা করল মোদী সরকার?
ডিবিটি কী,এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
খুব সাধারণভাবে দেখলে, বলা যায় ,ডিবিটি হল ভর্তুকির থেকে পাওয়া লাভের সুবিধাকে প্রেরণ করার নামান্তর। চেক ইস্যুর থেকে যা অনেক বেশি সুবিধা জনক। পণ্য বা পরিষেবার ক্ষেত্রে দামের রিবেট বা নগদ যা সরকার দিয়ে থাকে তার ওপর একটি কার্যকরি হয়।
এই বিষয়ে মোদী সরকারের উন্নতি কীরকম?
পণ্য বা পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে ডিবিটি লাগু করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। অনেক কটি বিভাগকে এর জন্য একসঙ্গে হয়ে কাজ করতে হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হল গোটা প্রকল্পে থাকতে হবে প্রচুর পরিমাণ টাকা। লাগবে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক পরিকাঠামো।
UPA সরকারের আমলে এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল সীমীত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। যার সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, যে এনডিএ সরকারের আমলে জনধন যোজনা, থেকে শুরু করে প্রচুর পরিমাণ যোজনা চালু হওয়ায়, সুবিধা হয়েছে অনেকটাই। সারা দেশে ২৮ কোটি টাকা জনধন অ্যাকাউন্ট থাকায় ডিবিটি লাগু করতে সুবিধা হয়েছে অনেকটাই। এছাড়াও সরকারের 'আধার' পরিষেবাও কিছু কম বিনিয়োগ করেনি এই প্রকল্পের সাফল্যে। এই মুহুর্তে কেন্দ্রের ১৫ টি মন্ত্রকে ৮০ টি প্রকল্প রয়েছে। যা ডিবিটির মধ্যে গণ্য হয়।
পহল-এর সাফল্য
এলপিজিতে
পহল-এর
সাফল্য
চোখে
পড়ার
মতো।
২০১৪
সালের
নভেম্বর
মাসে
এই
নিয়ে
একটি
প্রকল্প
শুরু
হয়।
যা
পরে
গিয়ে
ডিবিটির
সাফল্যে
যুক্ত
হয়।
এখনও
পর্যন্ত
১৭.৫০
কোটি
অ্যাকাউন্টে
ভর্তুকির
টাকা
পৌঁছে
গিয়েছে
সাফল্যের
সঙ্গে।
এই
প্রকল্পের
ফলে
এলপিডজির
কালোবাজারি
বন্ধ
হয়েছে
অনেকটাই
।
কেরোসিনে ডিবিটি
দেশজুড়ে কেরোসিনে ডিবিটি দেওয়ার জন্য প্রকল্পের সাফল্য আরও গতি পেয়েছে। এর জন্য প্রতিটি রাজ্যে প্রয়োজন ৪ টি করে ইনসেনটিভ গতে প্রকল্পের ধাপ। তবে দেশের কটয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই তা হয়ে গিয়েছে।
সারের ক্ষেত্রে ডিবিটি প্রকল্প
২০১৭ সালের খারিফ মরশুমে সারের ভর্তুকির ক্ষেত্রে ৭০, হাজারকোটি টাকার ভর্তুকি একটি বড় বিষয়। যার সঙ্গে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন যোগ হয়েছে। ফলে গোটা বিষয়টিও অত্যন্ত কার্যকরি হয়েছে। দেশের ১৭ টি জেলায় , সারের ক্ষেত্রে বিক্রির পর ভর্তিুকি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। যদি এগুলিক কার্যকরি করে চালানো যায় তাহলে তা অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উপসংহার
তৃণমূল স্তরে যে সমস্ত দুর্নীতি রয়েছে দেশে জুড়ে তা এই ডিবিটি লাগু হওয়ার ফলে অনেকটাই কমে গিয়েছে। সরকারের প্কল্প গুলি সম্পর্কেও মানুষ অনেকটাই বেশি জানতে পেরেছে। তবে এর সঙ্গে যদি ইউনিভার্সাল বেসিক প্রোগ্রাম যুক্ত করা যায়, তাহলে বিষয়টি কোনদিকে মোড় নেয় এখন সেটাই দেখার।
(লেখক নীতিন মেহতা , রণনীতি কনসাল্টিং অ্যান্ড রিসার্চ -এর ম্যানেজিং পার্টনার। প্রণব গুপ্তা হলেন একজন স্বাধীন গবেষক।)