ডিজিটাল সুরক্ষা বিলে অভিনব সিদ্ধান্ত, মহিলা ও পুরুষ উভয়কে বোঝাতে সর্বনাম ‘শি’ এবং ‘হার’ ব্যবহার
প্রথমবার ডিজিটাল সুরক্ষা বিলে লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে বোঝাতে ‘শি’ এবং ‘হার’ ব্যবহার করা হয়েছে,
ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় 'শি' এবং 'হার' সমস্ত লিঙ্গের মানুষকে বোঝাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে 'সে' বা 'তার'-এর সর্বনামের ইংরেজি 'শি' এবং 'হার'। ইংরেজিতে পুরুষের 'সে' বা 'তার'-এর সর্বনামের জন্য 'হি' বা 'হিস' ব্যবহার করা হয়। সাধারণ সমস্ত লিঙ্গ নির্বিশেষে কোনও কথা বোঝাতেও 'হি' বা 'হিস' ব্যবহার করা থাকে। কিন্তু মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে বোঝাতে 'শি' এবং 'হার' ব্যবহার করেছে।
ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, ২০২২-এ খসড়ায় সমস্ত লিঙ্গের নাগরিকদের বোঝাতে 'শি' এবং 'হার' ব্যবহার করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি আইনটিক খসড়া টুইটারে প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জনগণের এই বিষয়ে মতামত জানতে চান। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিতে লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে বোঝাতে 'শি' এবং 'হার' ব্যবহার করা হয়েছে।
টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র প্রথম থেকেই নারীর ক্ষমতায়ণের ওপর জোর দিয়েছেন। এই উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়ণকে জোর দিতেই নেওয়া হয়েছে। পুরো বিলটিতে লিঙ্গ নির্বিশেষে 'শি' এবং 'হার' ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি মনে করছেন, কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগটি অভিনব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কন্যা ভ্রূণ হত্যা ও শিশু কন্যাদের পড়াতে উৎসাহিত করতে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ডিজিটাল ব্যক্তিগত সুরক্ষা বিল,২০২২ এর খসড়ায় 'শি' এবং 'হার' ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার চার বছর আগে ডিজিটাল ব্যক্তিগত সুরক্ষা বিল নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এই বিলটি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যার জেরে ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিলটি প্রত্যাহার করা হয়। সেই সময় কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছি ডিজিটাল ব্যক্তিগত সুরক্ষা বিলের খসড়া নিয়ে আসা হবে।
২০২২ সালের নভেম্বরে অবশেষে ব্যক্তিগত ডিজিটাল সুরক্ষা বিল নিয়ে আসা হয়েছে। কয়েকদিন এই বিলটির খসড়া পাবলিক ডোমেনে রাখা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে নিজের মন্তব্য করতে পারেন। মন্তব্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। তারপরেই ব্যক্তিগত ডিজিট্যাল বিলের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হবে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানানো হয়েছে, মূলত ইন্টারনেটে প্রতারণা থেকে সাধরণ নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এই বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।