জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার দেবেন্দ্র সিংহের পুলিশি জেরায় ধরা পড়লো একাধিক অসঙ্গতি
জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার দেবেন্দ্র সিংহের পুলিশি জেরায় ধরা পড়লো একাধিক অসঙ্গতি
শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার মীরবাজার থেকে লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জম্মু-কাশ্মীরের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংকে। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, এর জন্য কেড়ে নেওয়া হতে পারে তার রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও।
সূত্রের খবর, শ্রীনগর বিমানবন্দরে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং স্কোয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি যে দু’জন জঙ্গির সঙ্গে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন তিনি, সেই গাড়ি থেকে একাধিক একে-৪৭ রাইফেল ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
যদিও এদিকে গোপন পুলিশি জেরায় ওই আধিকারিক জানিয়েছেন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি রিয়াজ নাইকোকে খতম করার উদ্দেশ্যে তিনি সম্প্রতি একটি মিশনে ছিলেন। যদিও এই যুক্তির পিছনে এখনও তিনি কোনও যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেননি বলেও জানা যাচ্ছে। তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তার কথা কথা উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি।
সূত্রের খবর, জঙ্গি-যোগের কারণে সাসপেন্ড করার পর বর্তমানে ওই পুলিশ আধিকারিকের অফিস ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি শ্রীনগর বিমানবন্দরের হাইজ্যাকিং বিরোধী শাখায় রয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে আরও খবর ওই আধিকারিককে কোনও আন্ডার-কভার কাউন্টার জঙ্গি দমন মূলক অপারেশন পরিচালনা করার আদেশ দেওয়া হয়নি।
এদিকে গত বছর জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরে আপেল বাগানে পাঁচ শ্রমিকসহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। উপত্যকার প্রাক্তন স্পেশাল পুলিশ কর্মকর্তা (এসপিও) তথা হিজবুল জঙ্গি নাভেদ বাবুর নেতৃত্বেই সেই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। তার পর থেকেই তার গতিবিধির ওপর নজর ছিল পুলিশের। এর আগে ২০১৩ সালে খবরের শিরোনাম হন দেবেন্দ্র। ফাঁসির আগে একটি চিঠিতে তার কথা উল্লেখ করেছিলেন সংসদ ভবন হামলায় মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আফজাল গুরু।
২২ জানুয়ারিতেই ফাঁসি, নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ ও বিনয়ের আবেদন খারিজ সুপ্রিমকোর্টের