মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির অবনতি, লকডাউন নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির অবনতি, লকডাউন নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই করোনা টিকার দ্বিতায় ডোজ পেতে শুরু করেছেন নাগরিকরা। যদিও দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের মাঝেও ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র সহ মোট আটটি রাজ্যে বিশেষ কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর চিন্তাভাবনা করেছে কেন্দ্র। যদিও যেভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে ক্রমশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে ভাঁজ যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
ভয় ধরাচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ
মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহঃষ্পতিবার রীতিমত বিবৃতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিক ভি কে পলের মতে, "মহারাষ্ট্রের অবস্থা একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। বেশ কিছু জেলার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। নাগপুরে জারি হয়েছে কড়া লকডাউন।" নাগপুরের মত জনবহুল এলাকায় কোভিডের এহেন বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
দ্রুত টিকাকরণের পথে মহারাষ্ট্র
ভি কে পলের সাফ বক্তব্য, "মহারাষ্ট্রে যেভাবে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে রাজ্যের হটস্পট অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে সেই স্থানগুলিতে যথাসত্ত্বর টিকাকরণের প্রয়োজন।" লকডাউন পরিস্থিতি এড়াতে যে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা প্রয়োজন, তাও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
১০ জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ
টিকাকরণ শুরুর পর থেকে কোভিড সম্পর্কে মানুষের ভয় অনেকাংশে কমে এলেও পুনে, নাগপুর, থানে, মুম্বই, জলগাঁও, অমরাবতী, নাসিক সহ মোট ১০ জেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, এই ১০ ক্ষতিগ্রস্ত জেলার ৮টি মহারাষ্ট্রের। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য ধ্বস দেখা গেলেও তা যে বর্তমানে লাগামছাড়া, তা স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
প্রথমে না করলেও নাগপুরে লকডাউনের বিষয়ে একমত উদ্ধব
সূত্রের খবর, প্রথমে লকডাউনের বিষয়ে রাজি না হলেও বৃহস্পতিবার নাগপুরে লকডাউনের বিষয়ে জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পরিস্থিতি বিচার করে ১৫-২১ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুরে লকডাউন থাকলেও সমস্তরকমের জরুরি পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ২৫% কর্মী নিয়ে অফিসগুলিও চালু রাখার কথা জানান রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ধর্মীয় হিংসা, ইন্টারনেট বন্ধের কোনও লিপিবদ্ধ তথ্যই নেই সরকারের কাছে, সংসদে জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক