ভেঙেছে বিগত ৮ বছরের রেকর্ড! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হাত ধরেই ৯৬ শতাংশ পঞ্চায়েতে বেড়েছে কাজের চাহিদা
ভেঙেছে বিগত ৮ বছরের রেকর্ড! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হাত ধরেই ৯৬ শতাংশ পঞ্চায়েতে বেড়েছে কাজের চাহিদা
প্রথম ত্রৈমাসিকের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও বড় আর্থিক মন্দার ছাপ গোটা দেশেই। ফের ৭.৫ শতাংশ জিডিপি ঘাটতির মুখে পড়েছে গোটা দেশই। এদিকে লকডাউনের শুরু থেকেই কর্মহীনতা ভুগছে গ্রামীণ অর্থনীতি। বেড়েছে পরিযায়ী সঙ্কটও। যদিও গত চার-মাসে অনেকটাই বদলেছে সামগ্রিক অবস্থা। এমতাবস্থায় প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্পে কাজের চাহিদাও তুঙ্গে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
১০০ দিনের কাজের হাত ধরেই চাঙ্গা হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি
সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে চলতি আর্থিক বছরে তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড। গত সাত বছরের তুলনায় অনেক বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষকে কাজ করিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের হাত ধরে সর্বাধিক ছাপ ফেলেছে মনরেগা প্রকল্প। কৃষিক্ষেত্রেও তীব্র মন্দার পর গ্রামীন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে কলকারখানা সহ অন্যান্য কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় ১০০ দিনের কাজের দিকেই ঝুঁকেছেন একটা বড় অংশের মানুষ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বর্তমানে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যানে।
ভেঙেছে আট বছরের পুরনো রেকর্ডও
এদিকে জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের পোর্টালে দেখা যাচ্ছে গত আট বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে কর্মহীন দিবসের সংখ্যাও। পাশাপাশি কর্মহীন পঞ্চায়েতের সংখ্যাও এই বছরেই সবথেকে কম, মাত্র ৯ হাজার ১৮১। আর সহজ ভাবে বললে গোটা দেশের ২ লক্ষ ৬৮ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৩.৪২ শতাংশ পঞ্চায়েত এই তালিকায় রয়েছে।
অনেক বেশি কর্মমুখর হয়েছে চলতি অর্থবছর
এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কর্মহীন পঞ্চায়েতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫.৯৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ছিল ৫.৩৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ছিল ৩.৯১ শতাংশ। সংখ্যা তত্ত্বের হিসাবে গত বছর মোট কর্মহীন পঞ্চায়েতের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৩৭১। কিন্তু অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়ে আগের থেকে অনেক বেশি কর্মমুখর হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছর।
কেন্দ্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রক
বর্তমানে এপ্রিল থেকে নভেম্বর-শেষ অবধি সারা দেশে ৯৬ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত এনআরইজিএস-এর আওতায় কাজের জন্য নিজেদের নাম লিখিয়েছে। কাজও হয়েছে বহুল পরিমাণে। এদিকে এই চিত্র দেখে ফের কেন্দ্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের। করোনাকালের তীব্র সঙ্কটের মাঝেও গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙ্গা রাখতে কেন্দ্রীয় প্রচেষ্টাতে এই সাফল্য লাভ সম্ভব হয়েছে বলে তাদের মত।
বাইরে থেকে যত লোক নিয়ে আসুন আমার সঙ্গে পারবেন না! ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার