
‘কোনও মদ কেলেঙ্কারি হয়নি’! সিবিআই চার্জশিটেও নেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম
কোনও মদ কেলেঙ্কারি হয়নি। সিবিআই চার্জশিটেও নেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর মণীশ সিসোদিয়ার নাম। কেন্দ্রীয় সরকার অযথা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আর তার প্রমাণ হয়ে হিয়েছে সিবিআই-ইডির চার্জশিটে তাঁর নাম থাকা। আম আদমি পার্টি আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অর্থহীন অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শনিবার দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি তার চার্জশিট দাখিল করেছে। যদিও ইডি সমীর মহেন্দ্র এবং অন্যান্য চারটি সংস্থাকে অভিযুক্ত হিসাবে নাম দিয়েছে। আম আদমি পার্টি দাবি করেছে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয়নি। তবু তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে।
এই মামলায় তদন্ত এখনও চলছে। এখন যে চার্জশিট বিচারকের সামনে ইডি পেশ করেছে, তাতে তাঁর নাম নেই। চার্জশিটে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। সিসোদিয়া দিল্লির আবগারি নীতির মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে। তাঁকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই দ্বারা তলব করা হয়েছিল।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁর সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে অভিযান চালায়। সিসোদিয়ার জন্য স্বস্তির খবর, ইডির চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর ফলে আম আদমি পার্টি খানিক স্বস্তি পেয়েছে। আর স্বস্তি পেয়েই আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে হুঙ্কার ছাড়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
এরপর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, এটা তার জন্য মহান গর্বের বিষয় যে, তাঁর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়নি। তিনি লেখেন, "এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা এফআইআর করার পরেও, তারা আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে পারছে না। পাঁচ শতাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে আট শতাধিক কর্মকর্তার একটি দল যে চার্জশিট তৈরি করেছে, তাতে আমার নাম নেই। সিবিআই এবং ইডির চার্জশিট প্রমাণ করেছে যে কোনও মদ কেলেঙ্কারি ছিল না।"
সম্প্রতি দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে ইডি। এই ঘটনায় দু-জন বড় ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরৎচন্দ্র রেড্ডি, অরবিন্দ ফার্মারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দুই ব্যবসায়ীকে মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। দুই ব্যবসায়ীর কোটি টাকার মদের ব্যবসা রয়েছে।