দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী সংঘর্ষের অন্যতম মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল বাংলা থেকে
দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী সংঘর্ষের অন্যতম মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল বাংলা থেকে
জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনা দিল্লিতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে শুরু করে ধর্মীয় সংঘর্ষে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল তারপর বিজেপি শাসিত কর্পোরেশনের সেখানে বাড়ি , ঘর, দোকান জেসিবি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও যা বন্ধ হয়নি। ঘটনা রাজনৈতিক মোড় নিয়ে সময় নেয়নি। সেই ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকে ধরা হল পশ্চিমবঙ্গে থেকে।
কী জানিয়েছে পুলিশ ?
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা জাহাঙ্গীরপুরী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অন্যতম অভিযুক্তকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম ফরিদ ওরফে নিতু। পুলিশ জানিয়েছে "সে খুব সক্রিয়ভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত ছিল এবং ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা আমাদের বেশ কয়েকটি দল বৃহস্পতিবার তাকে তমলুক গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আজ বিমানের মাধ্যমে নয়াদিল্লিতে আনা হচ্ছে,"।
নাগাড়ে অবস্থান পরিবর্তন
সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে, এই অন্যতম মাথা তার অবস্থান নাগাড়ে পরিবর্তন করে যাচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গে এসেও এক জায়গায় সে থাকেনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ফরিদ। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে এবং সে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকার ত্রাস।
ঘটনার সূত্রপাত
এপ্রিল জাতীয় রাজধানীর জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তী মিছিল চলাকালীন দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, এতে আট পুলিশ কর্মী এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের সময় পাথর ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়। সহিংসতার কয়েক দিন পরে, দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা মামলার প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি দিয়েছিলেন। পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে প্রয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।
উস্কানিমূলক মন্তব্য
জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনা নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তিনি ওই বুলডোজার দিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার কাজকে সমর্থন তো করেন সঙ্গে আবার বলেন জিহাদ নিয়ন্ত্রণ করার এই কাজ করা হয় জেসিবি দিয়ে। ওই জেসিবি'র সম্পূর্ণ নাম তিনি দেন জিহাদ কন্ট্রোল বোর্ড। অর্থাৎ ওই গাড়ির মাধ্যমে জিহাদকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দখলদারি অপসারণের জন্য দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে একটি ধ্বংস অভিযান শুরু করার কয়েক ঘন্টা পরে, বিজেপি সাংসদ নরসিমা রাও টুইটারে বলেন যে জেসিবি 'জিহাদ কন্ট্রোল বোর্ড'-এর সমান। তার টুইটে তিনি ওই যানটির একটি ছবি সহ লিখেছেন "JCB = জিহাদ কন্ট্রোল বোর্ড #BulldozerBaba"
দেশজুড়ে আরও কিছুদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা, রইল এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশটি পয়েন্ট