সামরিক ইতিহাসের রেকর্ড সরলীকরণ করতে নয়া নীতিমালা অনুমোদন রাজনাথের
ভারতের সামরিক ইতিহাসের রেকর্ড সরলীকরণ করতে নয়া উদ্যোগ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার যুদ্ধের ইতিহাস ও অন্যান্য সামরিক অভিযানের রেকর্ড যাতে দেশ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে তার জন্য নতুন নীতি অনুমোদন করেছেন।
ভারতের সামরিক ইতিহাসের রেকর্ড সরলীকরণ করতে নয়া উদ্যোগ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার যুদ্ধের ইতিহাস ও অন্যান্য সামরিক অভিযানের রেকর্ড যাতে দেশ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে তার জন্য একটি নতুন নীতি অনুমোদন করেছেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এদিন এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিশিষ্ট সামরিক ইতিহাসবিদদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি। যুদ্ধ ও অপারেশন ইতিহাসের সংরক্ষণ, বিবরণীকরণ ও সংকলন সংক্রান্ত নীতি নিয়ে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
একাত্তরের ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়া, ১৯৯৯ কার্গিল যুদ্ধ এবং প্রবীণদের দ্বারা বিতর্কিত যুদ্ধের বিবরণসহ বেশ কয়েকটি ঘটনার বিষয়ে সামরিক বাহিনী অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। সই অস্বস্তি এড়াতে এই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হল। এই নীতিটি আবার ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পিছনে যে কারণগুলি ছিল, সেই হেন্ডারসন ব্রুকস-ভগত রিপোর্টকে অস্বীকৃতি জানায়।
অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক নেভিলি ম্যাক্সওয়েল ২০১৪ সালের মার্চ মাসে হেন্ডারসন ব্রুকস-ভগত প্রতিবেদনের কিছু অংশ ইন্টারনেটে আপলোড করে ভারতের সবচেয়ে শোচনীয় সামরিক পরাজয়ের ছবি সামনে এনেছিল। সূচিত হয়েছিল বিতর্ক। প্রতিবেদনে কার্যত পুরো বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে দেশকে এমন যুদ্ধে চালিত করার জন্য দায়ী করা হয়েছিল।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টমাস ব্রায়ান হেন্ডারসন ব্রুকস এবং ব্রিগেডিয়ার পিএস ভগতের লেখা এই প্রতিবেদনটি তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তবে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি সংসদে বলেছিলেন যে দলিলটি প্রকাশে জাতীয় স্বার্থ হানি হবে না।