কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং করোনা আক্রান্ত, মৃদু উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন বাড়িতেই
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং করোনা আক্রান্ত, মৃদু উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন বাড়িতেই
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মৃদু উপসর্গ থাকায় রয়েছেন বাড়িতেই। বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। টুইট করে নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন তিনি। টুইটে রাজনাথ সিং লিখেছেন, 'আমি করোনা পজিটিভ, মৃদু উপসর্গ রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। যাঁরা গত কয়েকদিনে করোনা তাঁর সংস্পর্ষে এসেছেন তাঁদের সকলকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলেছেন তিনি। এবং তাঁরা েযন করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেন তার অনুরোধ জানিয়েছেন।'
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ার কারণে করোনা বিধি কড়া করা হয়েছে। তবে লকডাউনের পথে হাঁটেনি কোনও রাজ্যেই। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ভয়া বহ আকার নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তাঁরও মৃদু উপসর্গ ছিল। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে ফের কাজে ফিরেছেন তিনি।
কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিসল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ারও করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১.৮ লক্ষ মানুষ। পজিটিভিটি রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। ৪০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশে ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গোটা দেশে রেকর্ড সংখ্যক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক জায়গাতেই স্বাস্থ পরিষেবা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। দিল্লির এইমস হাসপাতালেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে করোনার তৃতীয় ওয়েভে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। সেকারণে আইসোলেশনের সময়সীমা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকলেই হবে বলে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।