ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগর দিয়ে, কখন আছড়ে পড়তে চলেছে উপকূল এলাকায়
ঘূর্ণিঝড়‘গতি’ধেয়ে চলেছে বঙ্গোপসাগর দিয়ে, কখন আছড়ে পড়তে চলেছে উপকূলে
সাগর উত্তাল করে ফের বয়ে আসছে আর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় 'গতি'র অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলের দিকে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে সাইক্লোন 'গতি' ধেয়ে চলেছে উপকূল অভিমুখে। মঙ্গলবার তা আছড়ে পড়তে পারে ভারতের পশ্চিম উপকূলে। দক্ষিণের পাঁচ রাজ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপান্তরিত হতে আর এক ধাপ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টা প্রায় তিন কিলোমিটার গতিবেগে সমুদ্র বরাবর পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে বয়ে চলেছে ওই ঝড়। এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপান্তরিত হওয়া থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব অনুভব হতে শুরু করেছে।
কত দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় গতি
ওই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। কাঁকিনাড়ার থেকে ৩২০ কিলোমিটার এবং নরসাপুর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। গত ২৪ ঘন্টায় ওই ঝড়ের গতি হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে এটি আরও কার্যকর হওয়ার আশা বেড়ে গিয়েছে।
কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গতি
এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল আকার নিলে গতি নাম নিয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে কাকিনাড়ার দক্ষিণে সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হতে পারে বা ভূমি ছুঁতে পারে। ১৩ অক্টোবর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ওই ঘূর্ণিঝড়। আবার খানিক বিলম্বও হতে পারে গতি কমে যাওয়ার কারণে।
কোন কোন এলাকায় প্রভাব পড়বে
ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের শহরগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবরী, বিশাখাপত্তনম, ভিজিয়ানাগ্রাম, শ্রীকাকুলাম এবং কাকিনাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের রাডারে থাকবে। এই শহরগুলির ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র। এছাড়া দক্ষিণ ওড়িশা জেলার গজপতি, গঞ্জম, কোরাপুট, রায়গাদা, মালকানগিরি ও পুরীতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগেও ঝোড়ো হাওয়া বইছে
নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণ ওড়িশা থেকে অন্ধ্র প্রদেশ এবং উপকূলীয় তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে ১২, ১৩ এবং ১৪ অক্টোবর সামুদ্রিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। এই অঞ্চলগুলিতে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগেও ঝোড়ো বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড় তীরে আসার আগে এই বাতাসের গতি বাড়বে।
ল্যান্ডফলের পর কোন দিকে অগ্রসর হবে ঘূর্ণিঝড় গতি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর দুর্বল হয়ে পড়বে। এটি পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে এবং তেলেঙ্গানা পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে পৌঁছে যাবে। ১২ অক্টোবর থেকে তেলঙ্গানা এবং বিদর্ভ এবং মারাঠওয়াদায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ১৩ অক্টোবর এই জায়গাগুলির অনেক জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হবে।
পাকিস্তানে ইমরান বিরোধীদের 'মোদীর এজেন্ট' বলে আখ্যা! পিওকে ক্ষোভে ফুঁসছে কোন ইস্যুতে