লকডাউনে বেড়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা, বিনিয়োগে পিছিয়ে নেই ভারতও
লকডাউনে বেড়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা, বিনিয়োগে পিছিয়ে নেই ভারতও
২০২১, পুরোপুরি নিউ নর্ম্যালে একটা গোটা বছর। ২০২০ সালের মার্চমাসে করোনা আছড়ে পড়ার পর ২০২১ সালে একাধিক দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোটাবিশ্ব।তবে এ বছর বিনিয়োগকারীদের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করে বিপুল লাভবান হয়েছেন মানুষ। ভারতে ১৫ মিলিয়ন মানুষ টোকেনে বিনিয়োগ করেছেন। মোট ৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা৷ এঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষই ২০২১ সালে বিনিয়োগ শুরু করেন। শুধু যে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো বড় শহরের মানুষরা এতে বিনিয়োগ করেছেন তা নয়। মফস্বলের জনগণও পিছিয়ে নেই৷
চলতি বছরের অক্টোবরের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটাবিশ্বে ডিজিটাল গ্রহণযোগ্যতায় ভারত দ্বিতীয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির গ্রহণযোগ্যতায় তাদের স্থান একাদশতম। এই বছর কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ১০ হাজার শতাংশ বেড়েছে। নীচে সেরকমই ছ'টি ডিজিটাল মুদ্রার সম্পর্কে তথ্য রইল।
গালা
গালা হল একটি ইথেরাম টোকেন৷ ব্লকচেন গেমিংয়ে এদের সমস্ত কাজ কারবার। অর্থাৎ কোনও গেমিং আইটেম, পাস কিনতে চাইলে এর ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বছরে এর দাম ৫০,৮২৯ শতাংশ বেড়েছে৷
অক্সি ইনফিনিটি
আক্সি ইনফিনিটি গেমের টোকেন হল আক্সি ইনফিনিটি। এটাও একটি ইথেরাম টোকেন। গেমটির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করেন আবেদনকারীরা। এই বছরে এটির দামও বেড়েছে ১৮,৬৬৬ শতাংশ।
দ্য স্যান্ডবক্স
স্যান্ডও একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের ক্রিপ্টোকারেন্সি। গেমাররা এর মাধ্যমে রিওয়ার্ডস পেতে পারেন৷ ২০২১ সালে এর দাম বেড়েছে ১৪,৬২৯ শতাংশ৷ ভারতে এর দাম ৪৮০ টাকা।
পলিগন (ম্যাটিক)
ম্যাটিক হল পলিগন নেটওয়ার্কের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি। ইথেরাম যাতে বাধাহীনভাবে মাল্টি চেন সিস্টেমে পরিণত হতে পারে, পলিগন তারই ব্যবস্থা করে৷ ২০২১ সালে ১২,৮২৭ শতাংশ বেড়েছে এর দাম। এই মুহূর্তে ভারতে এর দাম ২০১ টাকা।
টেরা (লুনা)
পেমেন্ট নেটওয়ার্কে এই কারেন্সি ব্যবহৃত হয়। টেরার মাধ্যমে গোটা ব্যবস্থা সুবিধা পাভ করে। ২০২১ সালে ১১,৫৫৮ শতাংশ দাম বেড়েছে এই মুদ্রার। এখন ভারতে এর দাম ৭৭৬৫ টাকা।
সোলানা
একে ইথেরাম কিলারও বলা হয়৷ ডিজিটাল লেনদেনের জন্য বিকেন্দ্রীভূত একটি অ্যাপ তৈরি করে এটি। ২০২১ সালে এর দাম বেড়েছে ১০,১১৮ শতাংশ। এই মুহূর্তে ভারতে এর দাম ১৫,৫৩০ টাকা।