কেমন আছে কাশ্মীর? উপত্যকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর
এত দীর্ঘ সময় ধরে কাশ্মীরের জনগগণকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখার জেরে মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ক্ষোভএর থেকে আন্দোলন ও বিক্ষোভ আরও জোরদার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান। বর্তমানে প্রায় ৭৫ হাজার সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছে কাশ্মীরে। এছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন।
৫ অগাস্ট প্রত্যাহার করা হয় ৩৭০ ধারা
গত ৫ আগস্ট সংসদের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের 'স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়া হয়। সেই সময় থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ইন্টারনেটও বন্ধ করে রাখা হয় বহু অংশে। ১৪ অক্টোবর উপত্যকায় প্রথম মোবাইল পরিষেবা চালু হয়।
দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পৃথক করা হয় রাজ্যকে
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল করার পর অপর একটি আইন পাশ করিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে এবং লাদাখকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয় বহুদিন। গ্রেফতার করা হয় সেখানকার বিচ্ছিনতাবাদী নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের। ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার আগেই প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারিক আব্দুল্লাহ, তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে আটক করে গৃহবন্দি করা হয়।
এখনও জারি বিধিনিষেধ
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রশাসনের তরফে এখনও অনেক কঠোর বিধিনিষেধগুলির আরোপ করা আছে রাজ্যের উপর। রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল গুলিতে এখনও মোতায়েন করা আছে অতিরিক্ত সেনা বাহিনী। বেশ কিছু জায়গায় কারফিউ জারি রয়েছে এখনও। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক হয়নি। অনেক রাজনৈতিক নেতা আজও বন্দি।