সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়কে স্বস্তি শীর্ষ আদালতের, তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় স্থগিতাদেশ
সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিমকোর্ট। ফৌজদারী মামলার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। ২০১৫ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে ২০১৪ সালের মে মাসে মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তাঁর জামিন মঞ্জুর হলেও ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে তা খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। তাঁর জামিন খারিজ করে দেওয়ার পরই আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন অরুন্ধতী। সরকার ও পুলিশকে চোর ও অপহরণকারী অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ধৃত অধ্যাপককে ভয় পেয়েই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে। এরপরই অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা চালানোর নির্দেশ দেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি এ বি চৌধুরী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে পাল্টা মামলা করেন সাহিত্যিক।
সোমবার সুপ্রিমকোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ অরুন্ধতীর কাছে জানতে চায়, নিজের প্রতিবেদনের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন কিনা। জবাবে তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানিয়ে দেন, এটা কোনও ক্ষমাপ্রার্থণার মামলা নয়, ফলে অরুন্ধতী ক্ষমা চাইবেন না। আদালতে অরুন্ধতী আরও জানান, প্রশাসন বা আদালতের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করতে তিনি প্রতিবেদনটি লেখেননি। তাঁর প্রতিবেদনে শুধুমাত্র একজন বিকলাঙ্গ মানুষের মনে কথাই লেখা হয়েছিল। এরপরই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিমকোর্ট।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরোলির একটি আদালতের রায়ে সাইবাবা সহ ৬জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।