গোমূত্র খেলে সারে ক্যান্সার, বজ্রাসন করলে হাঁটুর ব্যাথা থাকে না, দাবি কংগ্রেস নেতার
গোমূত্র খেলে সারে ক্যান্সার, বজ্রাসন করলে হাঁটুর ব্যাথা থাকে না, দাবি কংগ্রেস নেতার
বুধবারই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ 'গোমূত্র’র গুণাগুণের গল্প শেয়ার করে দাবি করেন যে এই 'গোমূত্র’ পান করেই এক ব্যক্তির ক্যান্সার রোগ সেরে গিয়েছে।
গোমূত্র খেলে সারবে ক্যান্সার
হোমিওপ্যাথি ও ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে জাতীয় কমিশন গঠনের জন্য দুটি বিল নিয়ে রাজ্য সভায় এক বিতর্কে অংশ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যখন আমি গোমূত্র নিয়ে কথা বলছিলাম তখন আমার প্রচণ্ড ভালো বন্ধু জয়রাম রমেশ আমার মজা ওড়াচ্ছিলেন।' গল্প বলার সময় ফার্নান্ডেজ জানান, তিনি যখন মিরুটের কাছে এক আশ্রম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তিনি তখন এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেছিলেন যে গোমূত্র পান করে ক্যান্সার সেরে গিয়েছিল তার। বিজেপির বহু নেতাই আগে গোমূত্রের নিরাময় ক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন।
কংগ্রেসের কাছে সমালোচিত ফার্নান্ডেজ
এই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই তীব্র কটাক্ষ করা হয় ফার্নান্ডেজকে। ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তাঁর যখন হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যাথা ছিল এবং চিকিৎসকরা হাঁটু প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন, কিন্তু তিনি সার্জারি না করিয়ে বরং বজ্রাসন করতে শুরু করেন। ফার্নান্ডেজ বলেন, ‘আমি বজ্রাসন করতে শুরু করি, যোগা করি এবং এখন আমি কোনও সমস্যা ছাড়াই কুস্তিও করতে পারব।'
অটল বিহারি বাজপেয়ি বজ্রাসন করলে হাঁটুর সমস্যা হত না
ফার্নান্ডেজ আরও বলেন, ‘যখন (প্রাক্তন) প্রধানমন্ত্রী (অটল বিহারি) বাজপেয়ি জি হাঁটুর সার্জারি করলেন, আমার তখন মনে হয়েছিল যদি আমি তাঁকে আগে থেকে চিনতাম তবে অবশ্যই তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে বজ্রাসন করতে বলতাম এবং এটা করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতেন।' কংগ্রেস নেতা আরও জানান যে তিনি আমেরিকায় ১০৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা করেছিলেন যিনি একজন যুবকের মতোই সহজেই চলাচল করতে পারছিলেন। ফার্নান্ডেজের কথায় ‘যোগা হল আমাদের সম্পত্তি, আমরা যদি নিয়মিত যোগাভ্যাস করি, তবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বাজেট আমাদের ৫০ শতাংশ কমে যাবে। এটাই জীবনের পথ। আমাদের নিজস্ব ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক ধরনের নিরাময়ের রাস্তা বাতলে দিয়েছে, চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই।'
ফার্নান্ডিস এই দু'টি বিলে সমর্থন করলেও যোগ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা বাদ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।
করোনার প্রভাব পড়েছে ডেটিংয়েও, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই চলছে প্রেম–ভালোবাসা