আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশ
আরও কমল দেশের দৈিনক করোনা সংক্রমণ, সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশ
দেশে আরও কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,১৩২ জন। মারা গিয়েেছন ১৯৩ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১,৫৬৩ জন। উৎসবের মরশুমে করোনা সংক্রমণ চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গবেষকরা। এই মোদী সরকারকে সতর্কও করা হয়েছিল।
পুজোর শুরুতেই লাগাম ছাড়া ভিড়। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করছেন মানুষ। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। গবেষকরা সতর্ক করেছেন লাগামহীন আচরণ হলে সুপার স্প্রেডার হতে পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই নিয়ে আগেই সতর্ক করেছে রাজ্যগুলিকে। উৎসবের মরশুমে করোনা বিধি কড়া করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বঙ্গে দুর্গাপুজোয় করোনা বিধি জারি করা হলেও মানুষের আবেগ সেই বিধি মানছে না। পঞ্চমীর দিন থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নেমেছে মানুষের। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। তাতে আরও আশঙ্কা বাড়ছে।
যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। ১৮ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। দেশে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,২৭,৩৪৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মারা গিেয়ছেন ৪,৫০,৭৮২ জন। দেশে সুস্থতার হার ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বাধিক বলে জানা গিয়েছে। কাজেই যথেষ্ট সন্তোষজনক দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছেন, দেশে এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৯৫,১৯,৮৪, ৩৭৩ জনকে। বিজয়া দশমীকে ১০০ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের টার্গেট নিয়েছে মোদী সরকার।
দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পতনের মধ্যেও যেন প্রমাদ গুণছে কেন্দ্র। অক্টোবর মাসেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ভিড় বাড়ছে। এবারও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ েথকে বাড়িতে বলেই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে বলা হয়েছিল। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও কম ভিড় করার আবেদন জানানো হয় আইসিএমআরের পক্ষ থেকে। কারণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভয়ঙ্কর আকারের ভিড় নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পাের বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
কেরল-মহারাষ্ট্রেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। আইসিএমআরের গবেষকরা আগেই অবশ্য বলেছিলেন করোনার থার্ড ওয়েভ তেমন ভয়াবহ হবে না। শিশুদের মধ্যে করোনার থার্ড ওয়েভ আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গবেষকরা। সেকারণে শিশুদের করোনা টিকা তৈরির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একটি ভ্যাকসিনেরই ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে। কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল এখনও চলছে। শিশুদের টিকাকরণ দ্রুত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।