সেই করোনা ভাইরাসের জেরেই পিছিয়ে গেল বিজেপির মধ্যপ্রদেশ দখল!
করোনা ভাইরাসের কারণ দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ১০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস। আর কমলনাথ সরকারের এই সিদ্ধান্তেরই বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা পুনর্দখলের রাস্তা মসৃণ করে বিজেপি। তবে দেশের পরিস্থিতি এমনই, যে সেই করোনা ভাইরাসের কারণেই সরকার গঠন করার বিষয়টিকে আপাতত পিছিয়ে দিতে হচ্ছে বিজেপিকে।
রবিবার দেশ জুড়ে জনতা কার্ফু
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে রবিবার দেশ জুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই জনতা কার্ফু শুরুর আগেই আরও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল দেশে। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩৩৩ জনের শরীরে করোন ভাইরাসের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪-এ।
করোনার জেরে মৃত্যু আরও দুই জনের
এরই মধ্যে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজই আরও দুই জন মারা যান। জানা গিয়েছে, মুম্বইতে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধ আজ মারা যান। এদিকে পাটনায় মারা যান ৩৮ বছরের এক ব্যক্তি। জানা যায় দুই দিন আগেই তিনি কলকাতা থেকে ফেরেন নিজ রাজ্যে। এরপর আজ এইমস-এ তিনি মারা যান।
করোনা প্রকোপের মাঝেই চলে মধ্যপ্রদেশের নাটক
এদিকে দেশের করোনা নিয়ে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরেই চূড়ান্ত নাটক দেখেছে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক আঙিনা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ফ্লোর টেস্টের কয়েক ঘণ্টা আগেই হার স্বীকার করে নিয়ে বিজেপির পথ আরও মসৃণ করে দিয়েছিলেন কমলনাথ। ফ্লোর টেস্টে হার নিশঅচিত জেনে আগেভাগেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন কমলনাথ। আর এর সাথেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে ১৫ মাসের বিরতির পর ফের মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলে আসতে চলেছে শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে। তবে সেই ক্ষমতা দখলের মুহূর্তটি আসবে আরও কিছুটা বিলম্বের পর।
মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের পতনের সূত্রপাত
মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের পতনের সূত্রপাত ঘটে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কগ্রেস ত্যাগে। সিন্ধিয়া দল ছাড়তেই তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে সেই সব ইস্তফা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে টালবাহানা দেখা গিয়েছিল। তবে ২২ জনের মধ্যে ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেছিলেন অধ্যক্ষ। বাকি ছিলেন ১৬। অবশ্য সুপ্রিম নির্দেশের চাপে সেই বাকি বিধায়কদের ইস্তফাও গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ। আর এরপরই কংগ্রেসের সরকারের পতন নিশ্চিত হয়ে যায়।