লকডাউনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু কি অনাহারে! তোলপাড় শুরু ঝাড়খন্ডে
লকডাউনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু কি অনাহারে! তোলপাড় শুরু ঝাড়খন্ডে
প্রশাসন এই দাবির সত্যতা মানতে নারাজ। তবে ঝাড়খন্ডে ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা তোলপাড় করেছে একাধিক গ্রামকে। এর আগে, বিহারে এক ১১ বছরের বালকের মৃত্যু ঘিরেও উঠেছিল অনাহারের তত্ত্ব। এবার সেই একই তত্ত্ব উঠতে থাকায়, করোনার আরও একটি খারাপ দিক নিয়ে শুরু হয়েছে আশঙ্কা।
বন্ধ কাজ, নেই খাবার
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঝাড়খন্ডে কোকোমা গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, পার্শ্ববর্তী ইঁটভাটা বন্ধ থাকায় , সেখানে কাজ নেই আর। লকডাউনের পর থেকেই এলাকা এমন চেহারা নিয়েছে। গ্রামের অনেকেই শ্রমিক , আর তাঁদের আপাতত অনাহারের দিকেই যেতে হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এক মৃত্যুর কাহিনি
৬৫ বছরের সোমারিয়া দেবী ঝাড়খন্দের ভান্ডারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সেখানে তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই গ্রামবাসী সতর্ক হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, কাজ না পেয়ে দিনের পর দিন অনাহারে মারা গিয়েছেন সোমারিয়া। কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে তা মানতে চাওয়া হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞ থেকে সরকার বিরোধী শিবির কী বলছে?
অর্থনীতিবিদ জন ড্রেজ বলছেন, ঝাড়খন্ডের ১৯ জেলার ৫০ টি ব্লকে গ্রামের বাসিন্দাদের পরিস্থিতি ভাল নেই। বহু এলাকায় খাবারের কমতি রয়েছে বলে দাবি 'রাইট ফর ফুড ' উদ্যোগের কর্মীদের। সরকার বিরোধী শিবিরের দাবি, প্রশাসন ঘটনাটিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এলাকার বাম নেতাদের দাবি, শুধু তিনটি নয়, অনাহারে ঝাড়খন্ডে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সন্তানের জন্ম দিতেই মা 'কোভিড ১৯' পজিটিভ! রিপোর্ট ঘিরে আতঙ্কে পরিবার