করোনা রোগীকে দেওয়া হল জলভর্তি ইনজেকশন, রেমডিসিভিরের কালোবাজারিতে অভিযুক্ত খোদ স্বাস্থ্যকর্মী
করোনা রোগীকে দেওয়া হল জলভর্তি ইনজেকশন, রেমডিসিভিরের কালোবাজারিতে অভিযুক্ত খোদ স্বাস্থ্যকর্মী
করোনায় নাজেহাল গোটা দেশ। কোথাও চরমে উঠেছে অক্সিজেনের ঘাটতি তো কোথাও মিলছে না বেড। কোথাও নেই ভ্যাকসিন তো কোথাও নেই ভেন্টিলেটর। এদিকে এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন একদল অসাধু মানুষ। কোথা ভ্যাকসিনের কালোবাজারির চেষ্টা করা হচ্চে তো কোথাও করোনার জীবনদায়ী ওষুধ রেমডিসিভিরের। অনেক জায়গাতেই আবার চুরি যাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারও। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।
অভিযোগ, মেরঠের দুই ওয়ার্ড বয় সম্প্রতি করোনার জীবনদায়ী ওষুধ স্টকে রেখে কোলাবাজারি করছিলেন। মেরঠের সুভরতী মেডিকেল কলেজে ওই দুই অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় বর্তমানে কর্মরত বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ ওই হাসপাতালেরই করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ রেমডিসিভির খোলা বাজারে ইনজেকশন পিছু প্রায় ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন দুই ওয়ার্ড বয়। উল্টে রেমডিসিভিরের জায়গায় করোনা রোগীদের জল ভর্তি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য মহলে।
দৈনিক আক্রান্ত–মৃত্যুর মাঝে তেলেঙ্গনায় দেখা দিল টেস্টিং কিট সঙ্কট, ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বহু মানুষকে
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয়দের ধরতে হাসাপাতালে পুলিশ পৌঁছালে সেথানে ঝামেলা বাঁধে বলে জানা যায়। পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে চারজন বাউন্সারের বিরুদ্ধে। এই কালোবাজারির পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেই বিষয়েও ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রেমডিসিভিরের ব্যাপক কালোবাজারির অভিযোগ আসছে দিল্লি থেকেও। যা নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।